Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এসডিজি অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৭ PM
আপডেট: ২২ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:১৭ PM

bdmorning Image Preview


কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তি কৃষি। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য চাই সমন্বিত উদ্যোগ। এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য ক্ষুধা ও দারিদ্র বিমোচনের কোন বিকল্প নেই। ক্ষুধা ও দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার সাথে জড়িত আমাদের কৃষি ও কৃষক। আর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা কৃষির এবং কৃষিমন্ত্রণালয়ের। আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সর্বত্রই কৃষি জড়িত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বিএআরসি’র অডিটরিয়ামে কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট এসডিজি রোডম্যাপ প্রণয়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মশালায় একথা বলেন।

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি নির্ভর অর্থনীতির এই দেশে কৃষির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কৃষির বাজারজাত, বহুমুখীকরণ, কৃষিজাত শিল্প কারখানা এবং ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চয়তা ক্রমে বাজার ক্ষেত্র বিস্তৃতকরনের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক ও বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।  

দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে কৃষকবৃন্দকে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার জন্য সরকার সবসমই আন্তরিক ছিল এবং ভবিষৎতেও থাকবে। যেহেতু কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধিতে দারিদ্র বেশী হারে কমে। এজন্য উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজার জাত, প্রক্রিয়ার পথও অবারিত করতে হবে। এর জন্য সরকারের পাশাপশি বেসরকারি যৌথ অংশী দারিত্ব বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো: কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ড. শামসুল আলম, সদস্য (সিনিয়র সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশনের মোঃ নাসিরুজ্জামন, ভারপ্রাপ্ত সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সম্মানীয় অতিথি ছিলেন ড. কাজী এম. বদরুদ্দোজা, এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট।

কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সরকার এসডিজি অর্জনে কৃষিউন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে রূপকল্প ২০২১,রূপকল্প ২০৪১ ও ডেল্পাপ্লান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিচক্ষণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, দক্ষ ও কার্যকর মূদ্রানীতি প্রয়োগ, সুষ্ঠু ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং ইতোমধ্যে গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিকট অতীত ও চলমান ধারার ন্যায় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সম্ভব হবে।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জোট যে অপ্রীতিকর পন্থা অবলম্বন করছে তা বাঞ্চনিয় নয়। সরকার চায় সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিতে। তাদের সংসদ সদস্যবৃন্দের উচিত হবে সংসদে এসে তাদের দাবি উত্থাপন করা ও জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
 
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দিন বদল হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এক সময় বাংলাদেশের নাম লেখা হতো অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে। আজ সেই সুযোগ আর নেই। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ, সামনে ডেলটা প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে থাকবে উন্নত জাতি হিসেবে। ২০৩০ সালের মধ্যে “টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের” পরবর্তী ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সফল হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা এ অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সারিতে আমাদের আসন নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

Bootstrap Image Preview