Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাদক খেয়ে নদীর পানিতে নেশাগ্রস্থ মাছ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫৯ PM
আপডেট: ২১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নদীর পানিতে অস্থির ছুটাছুটি করবে মাছ এটাই তো স্বাভাবিক কিন্তু এখানে মাছগুলোর আচরণে বেশ পরিবর্তন ধরা পড়েছে। মাছগুলো স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি অস্থির হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমান বিশ্বের বড় একটি সমস্য মাদক। মাদকে আসক্ত হয়ে বড় ঝুঁকির মুখে মানুষ। এই সমস্যার কথা এখন সবার জানা। কিন্তু মাছের মাদকাসক্তি-বিষয়টি কিন্তু ভেবে দেখার মতোই। এমন ঘটনাই ঘটেছে লন্ডনের টেমস নদীতে। আর মাছের মাদকাসক্তির পেছনেও হাত রয়েছে মানুষের।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, লন্ডনের হাউস অব পার্লামেন্টের কাছে টেমস নদীতে মিলেছে অত্যাধিক পরিমাণ কোকেন। এই মাদক নদীটির ঈল মাছসহ অন্য প্রাণীদের নেশাগ্রস্থ করে তুলছে।

লন্ডনে গাঁজার পরই সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করা হয় কোকেন। এই কোকেন মানুষের প্রস্রাবের সঙ্গে গিয়ে মিশছে টেমসের পানিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন পানিতে মাদকের এই পরিমাণটা অত্যাধিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈল মাছ প্রতিবছর এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে টেমসে আসে। এ সময় তাদের নানা বিপদ ও ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। সেগুলো নদীর মোহনার কাছাকাছি থাকে। আর সেখানেই কোকেনের পরিমাণটা খুব বেশি। এ কারণে মাছগুলোর আচরণে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সেগুলো আগের তুলনায় বেশি অস্থির হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

খবরে বলা হয়, লন্ডন থেকে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ টেমসের পানিতে ফেলা হয়। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা জানান, বর্জ্য ফেলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানিতে ক্যাফেইন, কোকেন ও বেনজোলেকজোনাইনের পরিমাণ খুব বেশি দেখা গেছে।

ব্রিটেনে করা এক পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরে দেশটিতে ৮ লাখ ৭৫ হাজার জন কোকেন আসক্ত ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যা মানুষের পাশাপাশি জীববৈচিত্রকেও ক্ষতিগ্রস্থ করছে।

 

Bootstrap Image Preview