ভারতে আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন শরণার্থীদের উপর ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। এমন একটি বার্তা জানিয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলছেন, মিয়ানমারে তাড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
আজ শুক্রবার সকালে দেশের একটি অনলাইন গণমাধ্যমে লেখা কালামে তিনি উল্লেখ করেছেন, “ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে।“বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত জম্বু-কাশ্মির, হায়দারাবাদ ও নয়াদিল্লিতে ধরপাকড়ের এ মাত্রা আরও ব্যাপক। মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ভয়ে তারা সীমান্তের বিভিন্ন পথ দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছে।”
কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং শরণার্থী শিবির সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে ভারত ফেরত এসব রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “মাস দেড়েকের মধ্যে ভারত থেকে আসা ১৩ শতাধিক রোহিঙ্গাকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার এ ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
“সম্প্রতি ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গা পরিবারকে জোর করে মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ভারতের অন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিয়ানমারে তাড়িয়ে দেওয়ার ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। আতংকিত এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে।”
বাংলাদেশের কুমিল্লা, বেনাপোল, সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আতংকিত আরও অনেক রোহিঙ্গা পালিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
“পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্যাম্পে স্বজনদের কাছে রয়েছে। ভারত থেকে আসা সব রোহিঙ্গাকে এক জায়গায় রাখার পরিকল্পনা চলছে। সেজন্য এখন নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে।”
বিয়ষটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান কমিশনার আবুল কালাম।
২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অধিকাংশই আছে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে। এর বাইরে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আসা আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছে বাংলাদেশ।