শীতের আবহাওয়ার পরিবর্তনে সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ এবং জ্বরে কাবু হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তাই বলে হুট করে কাফ সিরাপ মুখে ঢালবেন না যেন। ওষুধও খেতে হবে না। বরং চকোলেট খান, অনেক ভালো কাজ করবে।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস। সংবাদমাধ্যম ডেইলিমেল-এ একটি সমীক্ষা তুলে ধরেছেন তিনি। সেখানে জানা যায়, সর্দি-কাশির নানা ওষুধ পাওয়া যায় বাজারে। কিছু ওষুধের অন্যতম উপাদান কোকোয়া। যে ওষুধে কোকোয়া রয়েছে, সেগুলি খেলে তাড়াতাড়ি সুস্থতা লাভ করা যায়।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা জানান, সর্দি-কাশির ওষুধে কোডিনও ব্যবহার করা হয়। যাতে মাথা ধরা, কাশি এবং কফের সমস্যা দূর হয়। কিন্তু তার চেয়ে দ্রুত গতিতে কাজ দেয় কোকোয়া। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা কাটানো যায়। ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটে না।
মূলত চকোলেটই কাজ করে দুইভাবে-
প্রথমত, মধুর মতো গলায় আঠালো একটা আস্তরণ তৈরি করে চকোলেট। তাতে স্নায়ুপ্রান্তগুলো ঢাকা পড়ে যায়। তাই ঠান্ডা লাগলেও গলা খুসখুস করা বন্ধ হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ত, কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামের বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে, যা কাশির মাধ্যমে বারবার কাফ ফেলার শারীরিক প্রয়োজন কমিয়ে দেয়। সাধারণ ওষুধের চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই গলার মধ্য তুলনামূলক মোটা আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তাতেও কমে যায় কাশি।
তবে গবেষকরা জানান, হট চকোলেটে কাজ হবে না। কারণ হালকা গরম দুধের সঙ্গে চকোলেট মিশিয়ে খেলে, তাড়াতাড়ি গলা বেয়ে নেমে যাবে সেটি। মোটা আস্তরণ আর গড়ে উঠবে না গলায়। যদি চকলেট খাওয়ার কারণে ওজন নিয়ে চিন্তা থাকেন তাহলে নিশ্চিন্তে মিষ্টিছাড়া ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন। চাইলে সরাসরি কোকোয়াও খাওয়া যেতে পারে।