বাড়ি ভাড়া দেন আর যারা নেন উভয়কেই প্রতিমাসে একটি সমস্যায় পড়তে হয়। তা হচ্ছে বাড়ি ভাড়ার সাথে, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল কত এলো? আর বাড়িওয়ালাদের চিন্তা হচ্ছে তিনটি বাড়ির ৩০টি ফ্ল্যাটে কত ভাড়া জমা পড়লো। হিসেব কষত কষতে জীবন নাবিশ্বাস। এটি থেকে মুক্তি দিতে একটি নতুন প্রযুক্তির উদ্বাবন করা হয়েছে। যাতে সহজেই সব হিসেব চুকে যায়। বাংলাদেশি তরুণদের এই উদ্যোগ হাসি ফোঁটাবে ভাড়াওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের।
যদি আপনি একজন বাড়িওয়ালা অথবা এপার্টমেন্ট ওনার এসোসিয়েশানের মেম্বার হন এবং আপনার ফ্ল্যাটের অথবা বাসার হিসাব নিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে গলদঘর্ম অবস্থা হয়। কোন বাড়ির ভাড়া সংগ্রহ হল বা বকেয়া আদায়ে দরজায় কড়া নাড়া।
বাড়ির কোন কিছু নষ্ট হলে মেরামত করা। গার্ড এবং অন্যান্যকর্মীদের বেতন হিসাবে রাখা- সবমিলে দায়িত্ব বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ব্যস্তময় জীবনে সময় করে উঠতে পারছেন না আপনার বাসা বা এপার্টমেন্টের মাসিক হিসাব নিকাশ করতে। এই মহাযন্ত্রণার সমাধান দিতে এসে গেলো ভাড়াটিয়া অ্যাপ.
প্রতিমাসে এপার্টমেন্টের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং বাড়িওয়ালাদের প্রতিমাসের বাড়িভাড়া ও আনুসাঙ্গিক বিলের হিসাব প্রস্তত করতে তৈরি হয়েছে ভাড়াটিয়া অ্যাপ। ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া, কার পার্কিং চার্জ এবং সার্ভিস চার্জ এই অ্যাপটিতে ইনপুট করলে মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে সেটা চলে যায় ভাড়াটিয়ার ফোনে।
এছাড়াও ভাড়াটিয়া চাইলে সেখান থেকে তার বিলটি প্রিন্ট করেও নিতে পারেন। ভাড়া প্রদানের পর আবার আরেকটি এসএমএস পাঠিয়ে নিশ্চিত করা হয় ভাড়াটিয়াকে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এখানে ভাড়াটিয়ার সব তথ্য এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা আছে।
মাস শেষে কনভেন্স বিল, স্টাফদের বেতন, বোনাস, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসাব করে অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই লাভ কিংবা ক্ষতির জানান দেয়। একাউন্টিং বিষয়ে জানাশোনা না থাকলেও চিন্তার কারণ নেই। কারণ ব্যালেন্স সিট এই অ্যাপটিই তৈরি করে দিচ্ছে।
প্রযুক্তির ছোঁয়া পড়েছে সব ক্ষেত্রেই। বাড়ির হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ কেনই বাদ থাকবে তাহলে?
৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়ালের জন্য www.varatiyaa.com এ গিয়ে Sign Up করতে পারেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে এ দেশের তরুণ প্রজন্ম ওৎপ্রোতভাবে। ১০ মিনিট স্কুল, পাঠাও, সেবা.কম ইত্যাদি তরুণ প্রজন্মের নতুন নতুন আবিষ্কার, যা মানুষের জীবনকে করেছে সহজ সরল ও গতিময়। তেমনি, ভাড়াটিয়া.কম তৈরি করে জনসাধারণের মনে জায়গা করে নিয়েছে একগুচ্ছ তরুণ দল।
৩৮ বছর বয়সে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির আইটি বিভাগ থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে দাঁড় করিয়েছেন নিজের প্লাটফর্ম নির্মাতা মুনির মাহমুদ, তার সাথে এ্যাপটি ডেভেলপের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তৌফিক এলাহী এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালশের জীম মন্ডল।
এ বিষয়ে বিডিমর্নিং এর সাথে একান্ত আলাপ চারিতায় জীম মন্ডল বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্বের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ভাড়াটিয়া অ্যাপ তৈরি করে সেটারই প্রমাণ দিলাম। এটি ব্যবহার করে খুব কম সময়েই সকলেই ভালো সেবা পাবে।
তিনি বলেন, ভাড়াটিয়া অ্যাপ ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এনেকেই এগিয়ে আসছে এটির সেবা নিতে। আশা করি সকলের সহযোগিতা পেলে আরও ভালো হবে।