সন্তানের কোনো বিপদ হলে মায়েরাই নাকি সবার আগে টের পান। তেমনি মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছে এমন কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় মা। সেখানে গিয়ে ধর্ষকদের প্রতিহত করেন। শুধু প্রতিহত নয় তিনজন ধর্ষকের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করে বাকি দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জার্টওয়ার্টায় ঘটেছে।
গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, রান্নাঘরে মেয়ের জন্য খাবার তৈরি করছিলেন মা। আচমকা মেয়ের এক বন্ধু এসে খবর দেয় তিন ব্যক্তি নাকি তার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। খবর শুনে ছুরি হাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে ধারালো ছুরি হাতে ধর্ষণকারীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় এক ধর্ষক ওই মায়ের হাতে থাকা ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়া বাকি দু’জনও ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে ও লাশ নিয়ে যায়। তবে ওই নারীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ও গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনার তিন সপ্তাহ পর আদালতে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই নারীর বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলা খারিজ করে দিয়ে অভিযুক্তদের ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এদিকে এ ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে ৫৭ বছর বয়সী ওই নারীর এমন সাহসী ভূমিকার জন্য অনেকেই তাকে ‘লায়ন মাদার’ বলে অভিহিত করেন। মেয়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন উদাহরণ সৃষ্টি করায় অনেকে প্রশংসাও করেন তার।