Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হিন্দুত্বের সারমর্মই বোঝেন না মোদি: রাহুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৩৭ AM
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৩৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নরেন্দ্র মোদি কেমন হিন্দু? প্রশ্ন তুললেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থানে কংগ্রেসের এই সভাপতির দাবি পাক-অধিকৃত কাশ্মিরে সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন।

উদয়পুরে এক ভাষণে রাহুল বলেন, হিন্দুত্বের মূল কথা কি? গীতার মূল বক্তব্যই বা কি? হিন্দুত্বের মূল কথা হল সব প্রাণীরই কিছু না কিছু জ্ঞান রয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি হিন্দু। কিন্তু হিন্দুত্বের সারমর্মই তিনি বোঝেন না। উনি কেমন হিন্দু?

সম্প্রতি রাহুলের গোত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। তার মন্দিরে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছে নরেন্দ্র মোদির দল। রাহুল রাজস্থানে পুষ্করের মন্দিরে পুজা দেওয়ার পরে সেই মন্দিরের পুরোহিত জানান, রাহুল দত্তাত্রেয় গোত্রের কাশ্মিরি ব্রাহ্মণ।

মতিলাল নেহরু, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধী, মেনকা গান্ধীও ওই মন্দিরে পুজা দিয়েছিলেন বলে জানান ওই পুরোহিত। এর পরেও বিজেপি গোত্র প্রশ্নে আক্রমণ থামায়নি। বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, ওই গোত্র জওহরলালের। কিন্তু রাহুলের ঠাকুর্দা পার্শী ছিলেন। তাই তিনি দত্তাত্রেয় গোত্রভুক্ত নন। তার পরেই মোদির হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এই কংগ্রেস সভাপতি।

রাহুলের মন্তব্যের পরেই মুখ খোলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতারা। সুষমা কটাক্ষ করে বলেন, পৈতাধারী ব্রাহ্মণের জ্ঞান এত বেড়ে গিয়েছে যে এখন তার কাছ থেকে আমাদের হিন্দুত্ব শিখতে হবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন কখনও রাহুল গান্ধীর কাছে হিন্দুত্ব শিখতে না হয়।’

রবিশঙ্কর প্রসাদের মতে, রাহুল রাজনৈতিক প্রয়োজনে হিন্দুত্বকে বরণ করার চেষ্টা করেন। তিনি হিন্দুত্বে বিশ্বাস করেন না। তাই তিনি গুজরাটে শিবভক্ত হিন্দু, আবার রাজস্থানে ব্রাহ্মণ গান্ধী। অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেসও এখন হিন্দুত্ব, গীতা নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে।

হিন্দুত্বের পাশাপাশি পাক-অধিকৃত কাশ্মিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে মোদির নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল। তার বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের ভোটে হেরে যেত মোদির দল। তাই পাক-অধিকৃত কাশ্মিরে সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন তিনি। রাহুলের দাবি, মনমোহন সিংয়ের জমানায় তিনবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল সেনারা। সেগুলোর কথা কেউ জানেন কি?

তখনও সেনারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অনুমতি চেয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, অভিযানের কথা গোপন
রাখা উচিত। আমরা তাদের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিলাম। মোদি মনে করেন তিনি সেনা, বিদেশ বা কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চেয়েও বেশি বোঝেন।

Bootstrap Image Preview