উত্তর কোরিয়ার ভেতরে ১৩টি গোপন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি চিহ্নিত করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি থিঙ্কট্যাংক। দেশটিতে এ রকম সম্ভাব্য ২০টির মতো ঘাঁটি আছে বলেও অনুমান তাদের।
ওই ঘাঁটিগুলোর কয়েকটিতে রক্ষণাবেক্ষণ ও ছোটখাটো উন্নয়ন কাজ লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) গবেষকরা।
এ ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়কে পরমাণু অস্ত্রের পথ থেকে সরিয়ে আনার বিষয়ে মার্কিন প্রত্যাশা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।
চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কীভাবে ও কতদিনের মধ্যে নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন হবে তার রূপরেখা দেয়নি উত্তর কোরিয়া।
এতে পশ্চিমা বিশ্লেষকদের সন্দেহ তৈরি হয়। দু’দেশের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতিও খুব সামান্য। তবে জুনের সম্মেলনের পরপরই টুইটারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘উত্তর কোরিয়া আর পারমাণু হুমকি নয়।’
পরমাণু শক্তির সামর্থ্য অর্জনের কাজ ‘পূর্ণাঙ্গ’ হয়েছে ঘোষণা দিয়ে উত্তর কোরিয়া চলতি বছর তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও পরমাণু বোমার পরীক্ষা-নিরীক্ষা স্থগিতের কথা জানায়।
এরই মধ্যে পুঙ্গি-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র ও সোহে ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল ব্লু হাউসের মুখপাত্র কিম ইয়ু কিয়োম জানান, ওয়াশিংটন ও সিউলের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সামরিক উপগ্রহ ব্যবহার করে উত্তরের ঘাঁটিগুলোর ওপর কড়া নজর রাখছে। সিএসআইএসের প্রতিবেদনে ‘নতুন কিছু নেই’ বলেও মন্তব্য তার।