ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধার মুখে ওড়না গুঁজে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক তরুণের বিরুদ্ধে। গত বুধবার ভারতের হরিয়ানার ভিওয়ানিতে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তের নাম রাজা।
প্রতিদিনই রাজাদের বাড়ির সামনে দুধ নিতে যেতেন ওই বৃদ্ধা। বুধবারও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন দুধওয়ালা আসতে দেরি করছিল। অন্য কাজ থাকার জন্য খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে রাজাদের বাড়িতে যান ওই বৃদ্ধা।
রাজাকে ডেকে বলেছিলেন, গোয়ালা এলে দুধটা যেন সে রেখে দেয়। এ কথা বলেই তিনি চলে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই সময় বৃদ্ধাকে একা পেয়েই হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের ঘরে ঢুকিয়ে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন রাজা।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বৃদ্ধা চিৎকার করতে থাকেন। জানাজানি হয়ে গেলে বিপদ হতে পারে এই ভেবে রাজা ওই বৃদ্ধার ওড়না তারই মুখে গুঁজে দেয়। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে রাজা একটা ইট নিয়ে বেশ কয়েকবার বৃদ্ধার মাথায় আঘাত করে। মাথা থেঁতলে যায় বৃদ্ধার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এর পর সকলের নজর এড়িয়ে বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে ৩০ মিটার দূরে একটা ফাঁকা জমিতে ফেলে এসে চুপচাপ ঘরে ঢুকে পড়ে। রাজা যখন কাণ্ড ঘটাচ্ছিল, সে সময় তার বাড়িতে কেউ ছিল না। তার মা গিয়েছিলেন বাজারে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিল রাজা।
রাজার মা বাড়িতে ফিরে বারান্দায় রক্ত দেখে চমকে ওঠেন। বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনাটা মাকে জানায় রাজা। তার পরই বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং খুনের প্রমাণ লোপাট করতে মা-ছেলে দু’জনে মিলে রক্তের দাগ ধুয়ে পরিষ্কার করে দেন।
পড়শিরা বৃদ্ধার মরদেহ দেখতে পেয়ে তার ছেলেকে খবর দেন। অজ্ঞাত পরিচয় লোককে অভিযুক্ত করে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তদন্তে উঠে আসে ধর্ষণের চেষ্টা এবং খুনের ঘটনা। রাজার বাড়ির কাছ থেকে ওই ফাঁকা জমি পর্যন্ত কোনো ভারী কিছু টেনে নিয়ে যাওয়ার দাগ দেখতে পান তদন্তকারীরা। সন্দেহ হওয়ায় রাজাকে আটক করে জেরা শুরু করেন তারা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে রাজা স্বীকার করেন ধর্ষণের চেষ্টা এবং খুনের কথা। তার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।