বেনাপোল প্রতিনিধি:
যশোরের শার্শায় মৌসুমী মধু চাষীদের মধু সংগ্রহ শুরু হয়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন ভ্রাম্যমাণ মৌচাষিরা। শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদাহ গ্রামে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে আসা ভ্রম্যমাণ মৌচাষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মধু সংগ্রহে এসেছে মামা ভাগ্নে আরাফাত হোসেন (২২) ও আবু বক্কর (২৬) নামে দুই যুবক। কয়েকশ' মৌমাছির বাক্স নিয়ে চলতি মৌসুমের বরই ফুলের মধু সংগ্রহে এসেছেন তারা। মাঠের বরই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাছিও নেচে নেচে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত। এই সৌন্দর্য দেখার জন্য আশপাশের এলাকা থেকেও মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
মৌচাষ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, মৌচাষের উপরে তারা খুলনা থেকে ৬ বছর আগে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে তাদের বাপ দাদারা এই চাষ করতো। এই চাষের সাথে তারা প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে জড়িত রয়েছেন।
তাদের বর্তমান ব্যবসাই হচ্ছে মৌচাষ। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও সচল হওয়ার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতি ৬ মাস ৬-৭ লাখ টাকার মধু বিক্রি করে থাকেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কোম্পানি মালিকের কাছে।
প্রতি মণ মধু বিক্রি করেন ১০-১২ হাজার টাকা দরে। তবে বড়ই ফুলের চেয়ে সরিষার ফুলের মধুর দাম অনেক বেশি। আর ওই সময় আনন্দে কাটে মৌচাষীদের।
মৌচাষীরা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মৌচাষীদের উপর সুদৃষ্টি দিয়েছেন বলে আমরা ২৫-৩০ হাজার টাকা লোন পেয়েছি। আর সে টাকা আমরা মৌচাষ করে বছর শেষে পরিশোধ করে দেই। আর সরকার যদি এই মধু বিদেশে রফতানি করার প্রক্রিয়া তৈরী করতে পারে তাহলে দেশের যেমন উন্নয়ণ হবে, আমরাও হবো আর্থিকভাবে লাভবান।
নতুন এলাকায় তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, নতুন এলাকায় আসলে একটু তো ঝামেলা হয়। এখানকার চেয়ারম্যান আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। এবং তিনি প্রতিদিন নিজে এসে খোঁজ খবর নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উলাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক বলেন, শ্যামনগর থেকে আমার এলাকায় আসা মৌচাষীরা তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাকে বলেছেন। যেহেতু তারা বাইরে থেকে আমার এলাকায় এসেছেন সে জন্য তাদের জান-মালের যাতে কোন সমস্যা না হয় সে জন্য আমি নিজে সেখানে গিয়ে খোজ খবর নিচ্ছি এবং তারা যে কয়দিন থাকবে আমার নিজ দায়িত্বে তাদের দেখা শোনা করবো।