ভারতের নিউটাউনের প্রমোদগড় এলাকায় ছেলেকে বেড়াতে পাঠিয়ে পুত্রবধূকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ‘তান্ত্রিক’ শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তের নাম ভরতচন্দ্র মণ্ডল। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গেছে, চার মাস আগে ওই তরুণীর বিয়ে হয় বাগুইআটির প্রমোদগড় এলাকার এক যুবকের সঙ্গে।
গৃহবধূর অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে স্বামী, ননদ ও শাশুড়িকে বেড়াতে পাঠিয়ে দেন শ্বশুর। স্নান করে পোশাক পরিবর্তন করার সময় আচমকা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন তিনি। দরজা বন্ধ করে কুকথা বলতে শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে অত্যাচার শুরু হয়। পরে জোর করে ধর্ষণ করেন তিনি।
কোনও রকমে ঘর থেকে বেরিয়ে, পাশেই তার দিদির বাড়ির সামনে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ওই বধূ। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে ঘরে নিয়ে যান দিদি। সেখানে গিয়েও পৌঁছান শ্বশুর। কাউকে এই কথা জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন সে।
এরমধ্যে প্রতিবেশীরা এসে জড়ো হলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তার শ্বশুর। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান ওই গৃহবধূ। ইতিমধ্যে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।