Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লাখাইয়ে আমন ধানে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা

আজিজুল ইসলাম সজীব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৭ AM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৯ AM

bdmorning Image Preview


হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় পানির অভাব এবং অনাবৃষ্টির কারণে বোনা আমন ও রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ রোপা ও বোনা আমন ক্ষেতের ধানগাছগুলো পানির অভাবে মরে যাচ্ছে। কোন কোন জমির ফসল রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বৈরি আবহাওয়ায় আমনের বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে আমনের ফলন অর্ধেকে নেমে আসার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ধানগাছে পানি সেচের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লাখাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোনা আমন ৪৭৫০ হেক্টর ও রোপা আমন ৩৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ফসল উৎপাদন ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার মেট্রিক টন।

কৃষকরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় ধানের ফলন কম হবে এবার। 

কৃষি বিভাগ থেকে নানা ধরনের প্রণোদনা পাওয়ায় এবার রোপা আমন ও বোনা আমন ধান আবাদে কৃষকরা নজর দিয়েছিলেন বেশি। আশায় বুক বেঁধেছিলেন এবারের আমনের ভালো ফলন হবে। কিন্তু ফসলি জমিতে বর্ষার পানি না উঠা এবং অনাবৃষ্টির কারণে ধানগাছ মরে যাচ্ছে। কৃষকের হাসি ম্লান হয়ে পড়েছে।

করাব ও বুল্লা ইউনিয়নের দায়িতপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্রাচার্য্য বলেন, বর্ষার পানি জমিতে না উঠার কারণে ডোমরু রোগের পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যে কারণে এবার উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার করাব গ্রামের কৃষক অর্জুন দেব বলেন, বর্ষার পানি জমিতে না উঠার কারণে আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধান না হওয়ার আশঙ্কা করেছেন তিনি। 

লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মুড়িয়াউক গ্রামের কৃষক মাফুজুর রহমান চৌধুরী জানান, বর্ষার পানির অভাব ও অনাবৃষ্টি কারণে তার ২০ কের জমির ধানের অধিকাংশ ফলন ঘরে তোলতে পারবেন না। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ধানের কোন সমস্যা হবে না। তবে ধানের চারায় রোগের পাদুর্ভাব আছে এমনটা তার জানা নেই বলে জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview