ক্যারম বল? পারেন। গুগলি? পারেন। ফ্লিপার? পারেন। অফব্রেক, লেগব্রেক, টপস্পিনার তো পারেনই। ব্যাটসম্যানের পায়ের পাতা লক্ষ্য করে দেওয়া স্লাইডার? হ্যাঁ, রহস্যময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর তৃণীরে সেটাও রয়েছে!
জয়পুরে মঙ্গলবার সন্ধেয় আইপিএলের নিলামে ৮.৪০ কোটি দর ওঠা বরুণকে নিয়েই তোলপাড় ক্রিকেটমহল। দেশের হয়ে খেলেননি কখনও। আর সেই কারণেই তামিলনাডুর স্পিনারকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ক্রিকেটপ্রেমী। এই নামটাই যে অধিকাংশের কাছে ছিল অজানা!
নিলামে তাঁর বেস প্রাইস ছিল মাত্র ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, রাজস্থান রয়্যালস, কলকাতা নাইট রাইডার্স— সবাই নিলামে তাঁকে নিতে দেখিয়েছে আগ্রহ। শেষ পর্যন্ত কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব তাঁকে পেয়েছে। তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগে খেলেই ক্রিকেটমহলের নজরে প্রথমবার আসেন তিনি। সিয়েচেম মাদুরাই প্যান্থার্সকে চ্যাম্পিয়ন করানোর নেপথ্যে তাঁর অবদান ছিল অনেকটাই। তার আগে চেন্নাই সুপার কিংসের নেটে বল করেছিলেন। এই বছরের আইপিএলে কেকেআরের নেটেও তাঁকে বল করতে ডেকেছিলেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
এ বারের চেন্নাই প্রিমিয়ার লিগে ৪০ ওভার হাত ঘুরিয়ে বরুণের ডট বলের সংখ্যা ১২৫! ইকনমি রেট ৪.৭। এটাও চোখ কপালে তোলার মতো। মাইকেল হাসির মতো ক্রিকেটারও তাঁর প্রশংসা করেছিলেন তখন। এর পরে বিজয় হাজারে ট্রফিতে নয় ম্যাচে ৪.২৩ ইকনমি রেটে নেন ২২ উইকেট। রঞ্জিতে তামিলনাডুর হয়ে অভিষেকও ঘটান তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ট্রায়ালেও ছিলেন।
মজার হল, ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবেই তিনি ছিলেন পরিচিত। পরের দুই বছর চেষ্টা করে চলেন চাকরির জন্য। ২২ বছর বয়সে ফের ক্রিকেটে মন দেন। তবে এ বার জোরেবোলার হয়ে ওঠাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু চোট পাওয়ায় তা পরিণতি পায়নি। এ বার তাই স্পিনার হয়ে ওঠার চেষ্টা করেন। আর তাতেই সিদ্ধিলাভ। আইপিএলের নিলামে ক্রিকেটদুনিয়ার নজর কেড়ে নিলেন তিনি।