Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা

আন্তর্জাতিক ডস্ক-
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪১ PM
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


ইয়েমেনের হুদেয়দায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দেশটির সরকার ও হুথি বিদ্রোহীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ডিসেম্বর) সুইডেনে শান্তি আলোচনার শেষ দিন হুদেয়দায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি তাইজ শহরের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে একটি চুক্তিতে সম্মত হয় তারা।

হুদেয়দার তিনটির বন্দর থেকেই হুথি বিদ্রোহীরা নিজেদের সদস্য প্রত্যাহারে সম্মত হয়ে। একইসঙ্গে, তাইজ শহরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার ও হাউথি বিদ্রোহীরা একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হুথি বিদ্রোহীরা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে তুলে দিতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইয়েমেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ। এদিকে, ইয়েমেন যুদ্ধে মদদ দেয়া সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটকে সামরিক সহায়তা বন্ধে মার্কিন সিনেটে ভোটাভুটি হয়েছে।

ইয়েমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ ইয়ামানি বলেন, হুদেয়দার নিরাপত্তায় এটা একটি বড় অর্জন। জাতিসংঘ সেখানে সব ধরনের মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হুদেয়দার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিয়ে আমরা সেখানে ভবিষ্যতের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করব।

হুথি প্রতিনিধি প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল সালামা বলেন, সামরিক অভিযানের কারণে হুদেয়দার হাজার হাজার মানুষ ক্ষুধা আর দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে। একমাত্র এই বন্দরের মাধ্যমে তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব। তাই ইয়েমেনের সাধারণ মানুষের জন্য আমরা এই ত্যাগ স্বীকার করেছি।

যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত হুদেয়দার প্রায় দুই কোটি মানুষ আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন বলে আশা করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এর আগে ইয়েমেন সরকার ও বিদ্রোহীরা বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এবার হুদেয়দায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত য়েছে তারা। হুদেয়দা বন্দরে শান্তি স্থাপনে জাতিসংঘ বড় ধরনের ভূমিকা পালন করবে। সাধারণ মানুষকে সব ধরনের মানবিক সহায়তা দেব আমরা। ইয়েমেন পরিস্থিতির উন্নয়নে শান্তি আলোচনা অব্যাহত রাখতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে আবারো আমরা এক্ত্রিত হব।

গৃহযুদ্ধ বন্ধে বিবদমান পক্ষগুলোর শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টাকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।

Bootstrap Image Preview