ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া এবং মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসাহীন ক্রিকেটার চামেলী খাতুন অবশেষে ভারতের চেন্নাই থেকে সফল অস্ত্রোপচার শেষে রাজশাহীর নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। বুধবার সকালে নভো এয়ারের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে পৌঁছান।
চামেলী জানান, অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে ছয়মাস বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এরপরই তিনি আবারও মাঠে ফিরতে চান। তার চিকিৎসায় সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), আনসার ভিডিপি, সংসদ সদস্যদের এবং দেশের সব মানুষকে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৬ মাস বিছানায় বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর পর আবারও ক্রিকেটে ফিরতে চান ৩০ বছর বয়সী চামেলী।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে ২০১১ পর্যন্ত খেলেছেন। ক্রিকেট ছাড়া ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের মাঠেও নিয়মিত দেখা যেত চামেলী খাতুনকে। ২০১০ সালে এশিয়া কাপে রানার আপ হয় বাংলাদেশের। এ দলের হয়ে মাঠ মাতান চামেলী। কিন্তু ওই বছর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। পাশাপাশি মেরুদণ্ডের হাড়ের ব্যথা নিয়ে বছরের পর বছর মুমূর্ষু অবস্থায় কাটাতে হয় এই অলরাউন্ডারকে।
বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া সত্বেও না পাওয়ার বিষয়টি গেল ২৮ অক্টো্বর সংবাদ মাধ্যমে এলে বিষয়টি সকালের নজরে আসে। পরবর্তীতে প্রধাণমন্ত্রীর নিজ উদ্দোগে চামেলীকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ২ নভেম্বর ঢাকায় অস্ত্রপচারের পর ভারেত নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ নভেম্বর ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চামেলীর ডান পায়ের লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার হয়। দুদিন হাসপাতালে অবজারভেশেনে থাকার পর ড্রেসিংসহ অন্যান্য চিকিৎসার জন্য ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হয় তাকে।