গত বছরের তুলনায় এবছর আমন ধানে রোগ বালাই কম দেখা দেওয়ায় চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দ ও খুশি।
কার্তিকের শেষে ও অগ্রহায়ণের শুরুতে নতুন ধান ঘরে তোলা নিয়ে পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে গ্রামবাংলার কৃষাণীরা। আমনের মাঠ দুলছে নবান্ন উৎসবের আমেজে। উপজেলার ৮ ইউনিয়ের সর্বত্র ধানে ভরা ফষলের মাঠ দেখে সকলে দু-চোখ জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষাবাদ করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯'শ ৯৯ হেক্টর জমিতে। যার ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ দশ হাজার মেট্রিক টন। ধানের ভালো ফলনে খুশি হলেও ধানের দাম নিয়ে কিছুটা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে প্রান্তিক কৃষকরা।
সোনাকুল গ্রামের কৃষক বকুল জানান, বর্তমানে ৩৩ শতকে বিঘায় ধান রোপা থেকে কাটা মাড়াই পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে ১২/১৩ মণের মত। যার বর্তমান বাজার মূল্যে বিক্রি হচ্ছে ৬'শ থেকে ৬'শ ৫০ টাকা দরে। এতে করে কিছুটা লোকসান পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকারপাড়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, ধানের মন প্রতি ৮'শ থেকে ৯'শ টাকা দরে বিক্রি হলে কৃষকের অনেকটায় লাভবান হবে।