খাশোগি হত্যায় দায়ীদের শাস্তি পেতে হবে: এরদোগান

ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা। এই হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের সাজা ব্যাপারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, ঘাতকরা যত উচ্চপর্যায়েরই হোক তাদের সবাকেই শাস্তি পেতে হবে।

এ হত্যাকে এরদোগান পরিকল্পিত নির্মম হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, খাশোগি হত্যার নির্দেশ যিনি দিয়েছেন তাকেও জবাবদিহি করতে হবে।

এরদোগান বলেন, সৌদি আরব প্রশাসন খাশোগি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আমরা আশা করব, এ ঘটনায় ওপর মহল থেকে নিচ পর্যন্ত দায়ী সবার মুখোশ তারা খুলে দেবে এবং তাদের সমুচিত সাজা দেবে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, হত্যার নির্দেশ দেয়া থেকে শুরু করে সে নির্দেশ পালন করা ব্যক্তিটি পর্যন্ত সবাইকেই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে সৌদি আরবকে।

সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানই সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে ধারণা মার্কিন কয়েকজন আইনপ্রণেতার। তবে সৌদি যুবরাজের নাম উচ্চারণ করেননি তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর খাশোগি তুরস্কে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর হতে এরপর থেকেই তুরস্ক সৌদি চররা তাকে খুন করেছে বলে দাবি করে এসেছে।

তবে সৌদি আরব প্রথমে তা অস্বীকার করে এবং ঘটনার ১৭ দিন পর খাশোগি খুন হওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু খুনের ঘটনা নিয়ে দেশটি একাধিকবার বিবৃতি পাল্টেছে। মরদেহ কোথায় আছে তাও জানা নেই বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।

তবে এরই মধ্যে খাশোগির লাশের টুকরো পাওয়া যাওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে গণমাধ্যমে। তুরস্কেরও কয়েকটি গণমাধ্যমে খাশোগির দেহাংশের খোঁজ পাওয়ার খবর এসেছে।

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম স্কাই নিউজ বলা হয়েছে, ইস্তানবুলে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনের বাগানে খাশোগির লাশের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে। খুনের পর খাশোগির লাশ টুকরো টুকরো করা হয় এবং মুখমণ্ডল বিকৃত করে ফেলা হয় বলে জানানো হয়েছে খবরে।

ওদিকে দ্য মিরর পত্রিকা তুরস্কের গণমাধ্যমগুলোর খবরের বরাত দিয়ে বলেছে, তুরস্কের বিরোধীদলীয় নেতা ডগু পেরিনেক বলেছেন, ইস্তানবুলে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসভবনের বাগানে কুয়ার মধ্যে খাশোগির দেহাংশ পাওয়া গেছে। তুরস্কের হারবেলার টিভি চ্যানেল এ খবর দেয়।

তুরস্কে আরেকটি গণমাধ্যমের খবরেও সৌদি কনসাল জেনারেলের বাড়িতেই খাশোগির দেহাংশ পাওয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।