শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক কি সনৎ জয়সুরিয়া পাঁচ বছরের জন্য ব্যান হতে চলেছেন? এখনই একথা লেখার সময় আসেনি। তবে আইসিসি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে জয়সুরিয়া মাথার উপর ঝুলে থাকা শাস্তির খাঁড়া যে কোনও দিন নামতে পারে। তাই যদি হয়, তা হলে পাঁচ বছর ক্রিকেট থেকে সরে থাকতে হবে তাঁকে। ক্রিকেট দুনিয়ার কোনও মাঠে ঢুকতে পারবেন না। ক্রিকেটের সঙ্গে কোনওভাবে নিজেকে জড়িয়েও রাখতে পারবেন না।
জয়সুরিয়াকে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব তাই উত্তাল। তাঁকে নিয়ে সন্দেহের মাত্রা বাড়ছে। আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি। আইসিসি জানিয়েছিল, তাঁর মোবাইল, ল্যাপটপ জমা দিতে। জয়সুরিয়া তাও দেননি। তাই তার সম্পর্কে আইসিসি কঠোর হতে চলেছে। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী জয়সুরিয়া ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ ধারায় পড়েছেন। এই ধারায় তখন-ই ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, যখন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার আইসিসি-র দুর্নীতিদমন শাখার সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেয়। কিংবা যাবতীয় নথি দাখিল করার নির্দেশ অমান্য করে। তখন সেই ক্রিকেটারকে নিয়মে বেঁধে ফেলে শাস্তির ব্যবস্থা করে আইসিসি। জয়সুরিয়া দু'টো ধারাতেই পড়ছেন। তাই আইসিসি যদি শাস্তি দিতে চায় তাহলে পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে নির্বাসনে যেতে হবে।
আইসিসি-র প্রথম সারির এক কর্তা বলছিলেন, "২.৪.৬ ধারায় (প্রমাণ করতে সহযোগিতা না করা) যদি জয়সুরিয়া পড়েন, তাহলে তাকে কম করে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে। না হলে বড় শাস্তি। সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের। আবার ২.৪.৭ ধারায় যদি পড়েন (প্রামাণ্য নথি নষ্ট করা) তাহলে তাঁকে পাঁচ বছর সাসপেন্ড করা হবে। সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও হবে। এখন দেখতে অপেক্ষা কোন ধারায় পড়তে চলেছেন জয়সুরিয়া।"
তবে জয়সুরিয়ার ঘটনা যেদিকেই মোড় নিক, ইতিমধ্যে তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে যেটুকু কালিমা লাগার লেগে গিয়েছে। সেই কলঙ্কের কালি মুছে ফেলতে কীভাবে আগামী দিনে তিনি এগোন সেটাই দেখার। এক সাক্ষাত্কারে জয়সূর্য বলেছেন, ক্রিকেট জীবনে কোনদিন দূর্নীতির সঙ্গে আপস করেননি। এ সব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। তাই তাঁর নামে যা রটানো হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। একদিন না একদিন তা প্রকাশ্যে আসবে। তখন সবাই জানতে পারবেন, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক ভিত্তিহীন ছাড়া কিছু নয়।