Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে ৮ কিমি পায়ে হেঁটে হাসপাতালে গেলেন বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৫৮ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৫৮ PM

bdmorning Image Preview


ময়না তদন্তের জন্য ৭ বছরের মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন বাবা। গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ না থাকায় এবং পুলিশের সহযোগীতা না পেয়ে বাধ্য হয়ে তিনি মেয়ের লাশ কাধেঁ নিয়ে হাসপাতালে যান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ওড়িশার গজপতি জেলায়।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় তিতলির তাণ্ডবে তছনছ হয়েছে ভারতের ওড়িশার গজপতি জেলা। সেখানেই আতঙ্কপুর গ্রামে গত ১১ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যায় মুকুন্দ দোরার ৭ বছরের মেয়ে ববিতা। অনেক খোঁজের পর তার দেহ পাওয়া যায় একটি নালা থেকে।

রাজ্যটির ত্রাণ দফতরের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানান, তিতলির সময় ধসে চাপা পড়ে ববিতার মৃত্যু হয়। গত বুধবার মৃতদেহটি পাওয়া যায় একটি নালার মধ্যে।

লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে মুকুন্দ দোরার বাড়ি পৌঁছে স্থানীয় পুলিশ। মুকুন্দ সংবাদমাধ্যমে বলেন, পুলিশ এসে মৃতদেহের ছবি তুলে নিয়ে যায়। বলে যায়, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ভবানীপাটনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

মুকুন্দ সংবাদমাধ্যম কে আরও জানায়, পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা করেনি। কিন্তু উল্টো তারা আমাকে হাসপাতালে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমি গরিব মানুষ। তিন বেলা খাবারই পাই না ঠিক মত। সেখানে গাড়ি ভাড়া করব কেমনে। ফলে বাধ্য হয়ে মেয়ের লাশ বস্তায় ভরে কাঁধে চাপিয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাই।

এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে ভারত জুড়ে। ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করছে দেশটির বিভিন্ন সংগঠন।

এনিয়ে গজপতির জেলাশাসকে পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

Bootstrap Image Preview