পাকিস্তানের ধর্ষনের শিকার সাত বছরের জয়নব আনসারির বাবার সামনেই ধর্ষক ইমরান আলির ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়ছে।
গত বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় পাকিস্তানে ধর্ষিতার বাবার সামনেই ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া হলো। পাকিস্তানের লাহোরের কোট লকপত জেলে ফাঁসি হল সাত বছরের জিনাব আনসারির ধর্ষক ইমরান আলির। জিনাবকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল ইমরান। জিনাবেব বাবা দাবি করেছিলেন, তার সামনে ফাঁসি দেওয়া হোক তার মেয়ের ধর্ষককে। সে ইচ্ছে পূরণ করেছে পাকিস্তান আদালত।
ইমরানকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগেরদিন রাতে লাহোরের জেল কর্তৃপক্ষ জিনাবের বাবার সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন। তারপরেই বুধবার ভোরে ম্যাজিস্ট্রেট আদিল সরওয়ার, জেনাবের বাবা মহম্মদ আমিনের উপস্থিতিতে ফাঁসি দেওয়া হয় ধর্ষক ইরানকে।
জেলের মধ্যে ফাঁসি দেওয়ার সময় ইমরানের বড় ভাই এবং তার দুই বন্ধুকেও অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছিল জেলের ভেতরে। সকলের উপস্থিতিতেই সাজা কার্যকর করা হয়।
উল্লেখ্য,গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের অ্যান্টি টেরোরিস্ট কোর্ট অপহরণ, ধর্ষণ, খুন ও ছোট শিশুর সঙ্গে অস্বাভাবিক অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ পাওয়া যায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ধর্ষক ইমরানকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪১ লাখ রুপি জরিমানা করেন আদালত।
আদালতে শিশু জয়নব ছাড়াও কাসুরের আরো ছয় শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন ইমরান। সাতটি মামলায় ইমরান আলীকে ২১ বার ফাঁসি, তিনটিতে যাবজ্জীবন ও একটি মামলায় ২৩ বছরের সাজা দেয়া হয়। বহুল আলোচিত পাকিস্তানের এই মামলায় এক হাজারের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের পর তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল।