টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুমিনুল হক। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে আলাপকালে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠক শেষে মুমিনুল জানিয়েছেন, তাকে বোর্ড থেকে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। যদিও তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
এর আগে সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটের দিকে পাপনের গুলশানের বাসায় আসেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন অন্যতম আলোচিত ইস্যু টেস্ট অধিনায়কত্ব। মুমিনুল হকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর সেটা আরও জোরালো হয়েছে। ব্যাটে হাতে টানা ব্যর্থ হচ্ছেন মুমিনুল, বলা হচ্ছে অধিনায়কত্বের চাপ নিতে পারছেন না তিনি।
এর আগে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, মুমিনুলের সঙ্গে এক দফায় বসেছেন, আবার বসবেন। সেই বৈঠকই বসছে আজ। মুমিনুলের সঙ্গে থাকতে পারেন সাকিব আল হাসানও। তাদের সঙ্গে যে নেতৃত্ব নিয়েই আলাপ হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২ জুন বোর্ড সভার আগে আজই ফয়সালা হতে পারে টেস্ট অধিনায়কত্বের।
মুমিনুলের কাছে ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হবেন, নাকি নেতৃত্বও দেবেন- এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছে বোর্ড। দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়াল দেওয়ার আগেই এই সিদ্ধান্ত হবে।
সাকিব অধিনায়ক হলে নেতৃত্বে আসতে পারেন ফর্মে থাকা লিটন দাসও। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের কোনো ফরম্যাটেই সহ-অধিনায়ক নেই। তবে এবার লিটন পেতে পারেন আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব। এসব ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হবে আগামী ২ জুনের বোর্ড সভায়।
অধিনায়ক হিসেবে ১৭টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন মুমিনুল। এই ম্যাচগুলোতে করেছেন ৯১২ রান। তার ৫০ ছোঁয়া ব্যাটিং গড় নেমে এসেছে ৩১.৪৪ এ। মুমিনুলের নেতৃত্বে তিন ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ, দুই ম্যাচ ড্র আর বাকি ১২ ম্যাচেই হেরেছে।