আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রয়োজন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই, তবে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই আছে। তাকে ফেরত আনতে সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক মাস সময় দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিষয়টি পুলিশের হাতে। নিশ্চয়ই পুলিশ তাকে ফেরাতে পারবে না। আমাদের কাছে বলবে। বলুক, তারপর আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি হত্যা ও গুমের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।
তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিগত সরকারের আমলে মার্কিনিদের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তা কেটে গেছে। ইতালি বাংলাদেশসহ কয়েকটা দেশের ভিসা ইস্যুতে নতুন আইন করছে। এর ফলে বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে।
এ সময় লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘লেবানন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাতে পর্যাপ্ত ফ্লাইটের সংকট রয়েছে। এ অবস্থায় আকাশপথ ছাড়াও সমুদ্রপথে বাংলাদেশিদের ফেরানোর কথা ভাবছে সরকার।’
তিনি আরো বলেন, ‘লেবানন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৮০০ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন। প্রথম দফায় আগামী ২১ অক্টোবর ৫৩ জন বাংলাদেশির দেশে প্রত্যাবর্তন করার কথা রয়েছে।’