বলিউডের তারকা অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়ার পথচলা খুব একটা সহজ ছিলো না। চলার পথের সেসব গল্প নিয়ে আত্মজীবনী প্রকাশ করছেন তিনি। বইয়ের নাম ‘আনফিনিশড’।
নিজের লেখা বইয়ে অতীতের ভয়ংকর কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন প্রিয়াংকা। অভিনয়ের ক্যারিয়ারের শুরুতে বলিউড তার থেকে কী কী চেয়েছিল সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা নিজের বইয়ে লেখেন। একটি জায়গায় এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কীভাবে বলিউডে পুরুষ-তন্ত্র ও পক্ষপাতিত্বের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
জানা যায়, ছবির পরিচালক একটি আবেদনময় দৃশ্যের জন্য প্রিয়াঙ্কার অন্তর্বাস দেখাতে রীতিমতো বাধ্য করেছিলেন। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, পুরো গানের দৃশ্যটি ধরে প্রিয়াঙ্কাকে একটি একটি করে পোশাক খুলতে হতো। তাই প্রিয়াঙ্কা আরও একটি অতিরিক্ত পোশাক পরতে চেয়েছিলেন, যাতে পোশাক খুলতে খুলতে অন্তর্বাস পর্যন্ত পৌঁছতে না হয়। এজন্য প্রিয়াঙ্কা পরিচালককে জিজ্ঞাস করেছিলেন যে বেশি পোশাক পরবেন কিনা, যাতে সহজেই তার শরীর প্রদর্শিত না হয়।
অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখছেন, ‘পরিচালক আমার এই ব্যাপারে স্টাইলিস্টের সঙ্গে কথা বলতে বললেন। আমি ফোন করলাম এবং পরিচালককে ফোনটা দিলাম। আমার সামনে দাঁড়িয়েই পরিচালক ফোনে বললেন, 'যাই হয়ে যাক, নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস যেন দেখা যায়। নাহলে মানুষ সিনেমা দেখতে আসবে কেন'?
তিনি আরও লিখেছেন, তিনি সাহসী দৃশ্যটি করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু পরিচালকের বলার ধরনে তার মনে হয়েছিল, পরিচালক তাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন। তাই পরের দিনই তিনি ছবিটা থেকে বেরিয়ে আসেন। এমনকি ছবিটা হাতছাড়া করার পর প্রিয়াঙ্কা অন্য একটি সেটে সেই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন। পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনামূলক হয়ে ওঠেছিল, তার সহ-অভিনেতা সালমানকে সেই সময় সামাল দেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।
এই অভিনেত্রী জানান, ২০০০ সালে বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর এক পরিচালক তাকে প্লাস্টিক সার্জারি করতে বলেন। তার শরীরের কিছু অংশের পরিবর্তন দরকার বলে মত দিয়েছিলেন ওই পরিচালক। অভিনেত্রী হওয়ার জন্য তার স্তনে, থুতনিতে ও নিতম্বে কসমেটিক সার্জারি করা উচিত। এজন্য লস অ্যাঞ্জেলেসে এক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
আত্মজীবনীতে প্রিয়াঙ্কা তার জীবনের মানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাগুলোও লিখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি ছোট এক শহরের মেয়ে। কিন্তু আমার স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষাগুলো বড় ছিল।