প্রয়াত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর পৈতৃক ভিটা এখন বখাটেদের দখলে। সেখানে দিনের আলোয় প্রতিনিয়ত চলে সেই বখাটেদের আড্ডা আর রাতের আঁধারে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এতদিন অযত্নে-অবহেলায় বাড়িটি পড়ে থাকলেও এবার দখল হয়ে গেছে।
বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়া মহল্লার এ বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। এ বাড়িতে রয়েছে বিশাল পুকুর, শ্মশান, ভূমি অফিস ও এরশাদ আমলে নির্মিত কোর্ট বিল্ডিং। কিন্তু অযত্নে-অবহেলায় বাড়িটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অচিরেই সুবীর নন্দীর স্মৃতি রক্ষায় বাড়িটি উদ্ধার করে পাঠাগার কিংবা জাদুঘরে রূপান্তরের দাবি বিশিষ্টজন ও স্থানীয়দের।
অভিযোগ রয়েছে, শ্মশানটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী দখল করে রেখেছে। বাড়িটিতে সন্ধ্যার পর বসে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের আসর। যে শিল্পী এক সময় কণ্ঠের জাদুতে মাতিয়েছেন পুরো উপমহাদেশ। সেই শিল্পীর বাড়িতে এমন কার্যক্রম মেনে নিতে পারছেন না কেউই। সবার দাবি, দ্রুত বাড়িটি দখলমুক্ত করে সংস্কৃতি চর্চার জন্য সংরক্ষণ করা হোক।
সুবীর নন্দীর বাল্যবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক বলেন, সুবীর নন্দীর ইচ্ছা ছিল তার শেষকৃত্য যেন হবিগঞ্জে করা হয়। কিন্তু তার ইচ্ছা পূরণ হয়নি। এখানে জাদুঘর তৈরি করলে ভবিষ্যত প্রজন্ম সুবীর নন্দী সম্পর্কে জানতে পারবে।
প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বানিয়াচংয়ের ইউএনও মামুন খন্দকার বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। তাদের পদক্ষেপ অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুবীর নন্দীর বাড়িটি উদ্ধার করে জাদুঘর বানানোর কাজ করা হবে।
সূত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ