গেলো মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে আফতাব নগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। শিষ্যের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি গুরু প্রখ্যাত সুরস্রষ্টা আলাউদ্দিন আলী। শেষ পর্যন্ত তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজেকে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আলাউদ্দিন আলী’র শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনি দীর্ঘদিন তার সঙ্গেই ছিলেন। বুলবুল অনেক মেধাবী ছিলেন, যে কারণে আলীর কাছ থেকে ভালোভাবেই দীক্ষাটা নিতে পেরেছেন। শুধু সুর-সঙ্গীতে না, কবি-গীতিকবি হিসেবেও সে তার দক্ষতার ষোলোআনা প্রমাণ দিয়ে গেছেন।
আলাউদ্দিন আলীর অসুস্থতা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘদিন আলীর সঙ্গে ছিল বুলবুল। আলী বুলবুলকে যেমন স্নেহ করতেন, তেমনি শাসনও। মৃত্যুর আগেরবার বুলবুল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় আলী খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। আমাকে বলেছেন, জামান ভাই- বুলবুলকে কত শাসন করেছি। কত রাগ দেখিয়েছি। দীর্ঘ সময়ে কত কী বলেছি। তার অসুস্থতা আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার তো বুলবুল চলেই গেলো। একটা বিষয় আমাকে খুব ভাবাচ্ছে- বুলবুলের চলে যাওয়ার পরেই আলী আর স্বাভাবিক জীবনে নেই। স্বাভাবিক অসুস্থ, তাও না। একেবারে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। কতটা কষ্ট পেলে একজনের শোকে অন্যজনের এই পরিণতি হয়, তা আলীর আজকের অবস্থা দেখে বুঝতে পারছি।’
উল্লেখ্য, অনেকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন আলাউদ্দিন আলী। গেলো মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তিনি অতিমাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রাত ১১টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আলাউদ্দিন আলী’র শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। নিউমোনিয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।