Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ বুধবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কিছু নাম বাদ পড়াটা অবশ্যই ভালো খবর: ফারুকী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:২৯ PM আপডেট: ০৮ জানুয়ারী ২০১৯, ০২:৩৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী  ছবি মানেই অন্যকিছু! কিন্তু ফারুকী  সমসাময়িক বিষয় নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার থাকেন । ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গতকাল হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীসহ ২৪ মন্ত্রী,১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ উপমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ। এই নিয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী   তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো সেই স্ট্যাটাসটি,

'গত কিছুদিন ইয়াং এজ রোমান্টিক মুডে আছি। একটা কাজের প্রয়োজনে অবশ্য...

অন আ ডিফরেন্ট নোট, গত কাল থেকে একটু পত্রিকা দেখার সময় পাইলাম। চোখ বুলাইয়া নিলাম কারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাইলেন সেই তালিকার উপর। কিছু কিছু নাম বাদ পড়াটা অবশ্যই ভালো খবর। কিছু নাম না দেখে একটু অবাক হইছি, মনে হইছে কিছু সিনিয়র থাকতে পারতেন। আমি যে জগতের সেখানকার মানুষের অনুপস্থিতিটা একটু চোখে লাগছে।

তবে ভালো লাগলো, অনেক ইয়াং ব্লাড দেখে। অনভিজ্ঞতার কিছু ঝুঁকি থাকলেও এর সৌন্দর্য হলো, অনভিজ্ঞ মন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, নতুন রাস্তায় হাঁটতে পারে।
তবে কি আমরা কিছুটা পরিবর্তন আশা করতে পারি রাজনৈতিক আবহাওয়াতেও, কিছুটা সহনশীলতা?'

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর  ‘অভাজনের ইশতেহার’ প্রকাশ করেন ফারুকী । এরপর তিনি লিখেন- ‘সামনের পাঁচ বছর আমি কোন সরকার চাই বা যেই দলই সরকারে আসবে তাদের কাছে কি চাই’

এরপর তিনি লিখেন- ‘সামনের পাঁচ বছর আমি কোন সরকার চাই বা যেই দলই সরকারে আসবে তাদের কাছে কি চাই’

এরপর জনপ্রিয় এই নির্মাতা একে একে ১৩টি দাবির কথার উল্লেখ করেন।

১. স্বাধীনতার সাতচল্লিশ বছর গেছে। এই জাতি এখন আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চায়। আমরা এখন আর দাস নই যে, দু’বেলা ভাতের বন্দোবস্ত হলেই তিনবেলা লাথি সইবো। নাগরিকের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

২. কথা বলার এবং বিরোধিতা করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বিরোধী মতকে দমন-পীড়ন চলবে না। সেটা গুম, খুন, হাতুড়ি, বা গ্রেনেড কোনো কিছু দিয়েই চলবে না। পাশাপাশি এ যাবৎ কালের সকল গ্রেনেড হামলা, জঙ্গি হামলা, এবং গুম-খুনের বিচার করতে হবে।

৩. সমালোচক মাত্রই শত্রু- এই ফ্যাসিস্ট চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

৪. ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে।

৫. সকল প্রকার জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ এবং চরমপন্থার বিকাশ বন্ধ করতে হবে।

৬. পুলিশ বাহিনী সব শাসনামলেই কমবেশি সরকারি দলের ভূমিকা নিয়েছে। সেটা এখন এই পর্যায়ে গিয়ে থেমেছে যে, পুলিশ কর্মকর্তা একটা দলের পক্ষে ভোট চাওয়া শুরু করেছে। পুলিশ বাহিনীকে একটা স্বাধীন এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে হবে যার কাজ হবে নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া, কেবল সরকারের নয়।

৭. আদালত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। আদালতকে সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে দিতে হবে। পাশাপাশি আদলতকেও নিজের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।

৮. ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

৯. বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। তবে উন্নয়নের সাথে জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।

১০. ব্যাংকিং সেক্টরে সীমাহীন অনিয়মের বিচার করতে হবে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।

১১. শিল্পীর কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সকল প্রকার উদ্ভট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেন্সরের হাত থেকে শিল্পীকে রেহাই দিতে হবে।

১২. দেশীয় টিভি চ্যানেল, বিজ্ঞাপন, এবং সিনেমা-বান্ধব নতুন নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।

১৩. মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য অবশ্যই কোটা রাখতে হবে।

Bootstrap Image Preview