ওপার বাংলার জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’। এর প্রধান চরিত্র ‘শ্যামা’ হিসেবে পর্দায় হাজির হয়েছেন তিয়াসা রায়। দর্শকদের কাছে এখন তিনি খুবই জনপ্রিয়। আর এই জনপ্রিয়তার কারণেই নাকি তাঁর সংসারে ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে।
তিয়াসার স্বামী সুবান রায় ছোট পর্দার পরিচিত মুখ। ২০১৭ সালে শারদোৎসবে পঞ্চমীর দিন প্রথম তিয়াসাকে দেখেন সুবান। অষ্টমীতে সুবানের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয় তিয়াসাকে। তার কিছুদিনের মধ্যেই বাজে তাঁদের বিয়ের সানাই। বিয়ের মাত্র ছয় মাস পর স্বামীর হাত ধরে ছোট পর্দায় আসেন তিয়াসা।
সুবান আর তিয়াসার ঘনিষ্ঠ একজন বলেছেন, ‘তিয়াসা আর সুবানের ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল। ভালোই চলছিল তাঁদের সংসার। কিন্তু কয়েক মাস হলো ভালো নেই তাঁরা। হয়তো বিয়েটা ভেঙে যাবে। বড়দিনের দিন তিয়াসা থানায় যান। এ সময় তাঁর মা ছিলেন সঙ্গে। পুলিশের কাছে তিয়াসা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে কোনো মামলা দায়ের করেনি। এরপর সুবান আর তাঁর বাবাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়।’
এ প্রসঙ্গে তিয়াসা বলেন, ‘কোন সংসারে অশান্তি হয় না বলুন তো? এটা তো স্বাভাবিক। তবে এমন বড় কিছু ঘটেনি। খুব সামান্য একটা ব্যাপারকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে তা নিজেরাই মিটিয়ে নিতে পারব। আর একটা কথা বলব, আমরা একসঙ্গে ছিলাম এবং থাকব।’
অন্যদিকে সুবান রায় বলেছেন, ‘ছোটখাটো টুকরো অশান্তি তো হয়ই। কিন্তু তাই বলে সম্পর্কে ভাঙন নিয়ে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তা একেবারেই সঠিক নয়। বিয়ের পর আমিই তো তিয়াসাকে অভিনয়জগতে নিয়ে এসেছি। তিয়াসা এখন জনপ্রিয়, স্বামী হিসেবে তাঁকে নিয়ে আমার গর্ব হয়। প্রথমে যেভাবে স্ত্রীর পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও সেভাবেই তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করব।’