Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিচার চাইতে হাইকোর্টে সালাম মুর্শেদীর মেয়ে ব্যারিস্টার ঐশী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৪:১১ PM
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০৪:১১ PM

bdmorning Image Preview


রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে ‘ক্রিমিনাল, করাপ্ট’ বলায় ব্যারিস্টার সুমনের কড়া সমালোচনা করেছেন সালাম মুর্শেদীর মেয়ে ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী।

রোববার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।

ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী বলেন, ‘আমার বাবার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক রিট করেছেন। রিটটি করার পর থেকে দুঃখজনকভাবে তিনি একাধিক লাইভ করেছেন। যেখানে তিনি সম্মানিত সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে বিভিন্ন নামে ট্যাগ দিয়েছেন। তাকে তিনি ক্রিমিনাল ট্যাগ দিয়েছেন, করাপ্ট ট্যাগ দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক, তিনি (ব্যারিস্টার সুমন) একজন আইনজীবী। আমি নিজেও একজন আইনজীবী। আমি বুঝতে পারি না, যে ম্যাটারটি মাননীয় আদালতের সামনে বিচারাধীন আছে। আদালতকে অবমাননা করে কেমন করে তিনি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে লাইভে দিতে পারেন। এটা দুঃখজনক।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সামনে যে সাংবাদিক ভাই-বোন আছে তারা অবশ্যই এটা বিবেচনায় নেবে। আপনাদের হাত দিয়ে সত্যি কথাটাই যাওয়া উচিত। আমরা সব সময় সেটাই দেখে আসছি। সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।

ব্যারিস্টার ঐশী বলেন, ‘আমার বাবা শুধু সংসদ সদস্য নয়। তিনি বাংলাদেশের একজন গৌরবোজ্জ্বল ফুটবলার। যারা ক্রীড়া বিটে কাজ করেন তারা তার সম্পর্কে জানেন। আমি আজ আইনজীবী হিসেবে নয়, আমি একজন মেয়ে হিসেবে এসেছি বাবার জন্য বিচার চাইতে। যারা তাকে ব্যবসায়ী হিসেবে, পলিটিশিয়ান হিসেবে দেখেছেন তারা জানেন তিনি কি ধরনের মানুষ। বাবাকে এভাবে লাইভে যখন হীন করা হয়, তখন দুঃখ লাগে। অনুরোধ জানাবো, প্লিজ পাবলিসাইজ করবেন না। একটা ম্যাটার যখন কোর্টে আছে। কোর্টই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা মহামান্য আদালতকে সম্মান দিচ্ছি।

এদিকে সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দায়ের করা রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে ১৩ নভেম্বর সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

গত ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

তারও আগে সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে রিট করা হয়। ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন। রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

Bootstrap Image Preview