Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এবার বাধ্যতামূলক অবসরে উপসচিব রেজাউল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩৩ PM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


ধর্ষণের মামলা করায় কলেজছাত্রীকে আবারও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক উপসচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

সাময়িক বরখাস্তের আগে উপসচিব পদমর্যাদায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এ কে এম রেজাউল করিম।

বিভাগীয় মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি হারালেন তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এ কে এম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি প্রদান ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় আরেকটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে থাকায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় ও এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী জারি করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করলে ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং শুনানিতে তার দাখিল করা জবাব ও বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করতে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রাদি পর্যালোচনা শেষে বিধি মোতাবেক অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে বিধি মোতাবেক তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। অভিযুক্ত কর্মকর্তার দাখিল করা দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে প্রস্তাবিত গুরুদণ্ড আরোপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হলে কমিশন প্রস্তাবিত গুরুদণ্ড দেওয়ার সিন্ধান্তের সাথে ঐকমত্য পোষণ করে।

এতে আরও জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন প্রস্তাবিত দণ্ডের সাথে ঐকমত্য পোষণ করায় একই বিধিমতে গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বিধি অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর’ দেওয়া হলো।

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রেজাউল করিম রতন ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে ওই কলেজেরই ছাত্রী এই মামলার বাদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ‘প্রতারণার’ ফাঁদে ফেলে রতন তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও আছে বলে হুমকি দিয়ে পরে এক বছর তাকে ধর্ষণ করে চলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এ অভিযোগ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি মামলা হয়। এই মামলা করার আগের মাসে রতনের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী। ওই অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন উপসচিব রেজাউল।

দুই মামলাতেই ধানমন্ডি থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর রতনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

Bootstrap Image Preview