Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে রিট খারিজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২, ১২:১০ PM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২, ১২:১০ PM

bdmorning Image Preview


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মন্ত্রী হিসেবে পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট খারজি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে, গতকাল রোববার (২০ নভেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি শেষ করে এই রিটের আদেশের দেওয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য্য করেন আদালত।

শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত মন্ত্রী হয়ে দেশের নির্বাচন নিয়ে ভিনদেশে গিয়ে এরকম বক্তব্য দিতে পারেন না। আমাদের দেশের ভোট, নির্বাচন অন্যরা কবে দেবে এটি হতে পারে না। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমীন উদ্দিন আদালতে বলেন, মাই লর্ড, কোনো কোনো রাজনৈতিক অফিসে রাষ্ট্র দূতদের ডেকে এনে মিটিং করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকায় এই রকম খবর দেখছি।

এক পর্যায়ে আদালত বলেন, আমরা জাজমেন্ট দিয়ে এগুলো বন্ধ করতে পারি না। এসময় সোমবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

রিটের পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

তবে এই রিটটি প্রচারের জন্য করা হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এটা কোনো আর্গুমেন্ট হতে পারে না।’ তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের জন্য রিজয়েনডার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য দেননি। পত্রিকায় ভুলভাবে এসেছে।’ তখন আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে তার বক্তব্যের স্বপক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রিটের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। তিনি ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ।

গত আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তার এই বক্তব্যে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

Bootstrap Image Preview