Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৩১ PM
আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৩১ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর অগ্রভাগ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এটি উপকূলে পৌঁছায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ইতোমধ্যে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ উপকূলের জেলাগুলো অতিক্রম শুরু করেছে।

‘সিত্রাংয়ের যে পেরিফেরি ইফেক্ট আছে তা শুরু হয়ে গেছে। রাত ১১টার দিকে ঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে। এখন পানির উচ্চতা বাড়তে থাকবে।‘

পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝি অংশ দিয়ে সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশের ১৩ জেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারে। এর বাইরে আরও দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানতে পারে। সব থেকে বেশি আঘাত হানবে বরগুনা ও পটুয়াখালীতে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

১৩ জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।

এছাড়া চট্টগ্রাম খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার নয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলের সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডা. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। সিত্রাং পুরোটাই বাংলাদেশে আঘাত হানবে, ভারতে কোনো আঘাত হানবে না। 

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ৭ হাজার ৩০টি শেল্টার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে আনা হচ্ছে। সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড একসঙ্গে কাজ করছে। ১৫ জেলায় ২৫ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শেল্টারগুলোতে শুকনো ও রান্না খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছানাউল হক মণ্ডল। সিত্রাংকে মাঝারি আকারের সাইক্লোন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সিত্রাং মঙ্গলবার ভোর কিংবা সকালের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যেহেতু দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে তাই ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রে নিম্নচাপের কারণে ওই স্থানের পানির সমতল উঁচু হয়ে যাচ্ছে। ওই স্থান থেকে সমুদ্রের পানি চট্টগ্রাম উপকূলে জমা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উপকূলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

Bootstrap Image Preview