Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রনিকে রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসার প্রস্তাব!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০৭:১২ AM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২, ০৭:১২ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


রেলওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্তুষ্ট নন অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে আন্দোলনে করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। যেসব দাবি তিনি করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়নে আর কিছুদিন অপেক্ষা করবেন।

নয়তো আগামী ১ নভেম্বর থেকে আবারও আন্দোলনে নামবেন তিনি। তবে, যদি তাকে রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়, দুই বছরে রেলের অব্যবস্থাপনা দূর করবেন বলে জানিয়েছেন রনি।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রেলমন্ত্রী ও রেলের মহাপরিচালকের আমন্ত্রণে রেলভবনে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রনি বলেন, আমি সন্তুষ্ট নই। আমি তাদেরকে (রেল কর্তৃপক্ষ) বলবো, যে কথা আমাকে বারবার বলেছেন এটা জনগণকে বলুন। আমি আর কিছুদিন অপেক্ষা করব। যদি দাবি বাস্তবায়ন করে দেয় তাহলে ভালো। নয়তো এক নভেম্বর থেকে আবারও আন্দোলনে নামবো।

তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় নমনীয়ভাবে আমার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন তোমার দাবিগুলো এভাবে না বলে আমাকে সরাসরি এসে বলতে পারতে। কিন্তু আপনারা তো জানেন রেল ভবনে ঢুকতেই দেয়নি আমাকে। এমন একটা প্রতিকূল অবস্থা তারা তৈরি করেছিলেন। পারলে মেরেই ফেলে। মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন, আমার যে দাবিগুলো তা দুই বছরেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। আমি বললাম, কেন সম্ভব নয়? তাহলে আমাকে কেন বলা হলো? সময় নেওয়া হলো? এটা তো আমাকে ঠকানো হলো। আমাকে বলছেন, জনগণকে কেন আপনারা বলছেন না?

মহিউদ্দিন রনি বলেন, তিনি নানা সমস্যার কথা বলেছেন। আমি বললাম, জনগণকে এটা বলেন। নয়তো সমাধান করে দেন। তখন তিনি বললেন, তুমি আমার চেয়ারে এসে বসো। বললাম, যদি আপনার চেয়ারে এসে বসি তাহলে আমি এটা করে দেখাবো। তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি আমাকে রেলের ইতিহাস শোনালেন।

রেলমন্ত্রীর চেয়ারে বসলে নিজের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করতে আপনার কতদিন সময় লাগবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রনি বলেন, তিনি (মন্ত্রী) দুই বছরের কথা বলেছেন যে সম্ভব নয়। আমি এই দুই বছরেই করে দেখাবো। যদি এই দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারে, দুই বছর আমাকে দায়িত্ব দিক আমি এটা করে দেখাবো। এ সময় রেলের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সদিচ্ছার অভাব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে গত ৭ জুলাই রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে হাতে শেকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান শুরু করেন ঢাবি ছাত্র রনি। পরে তাকে রেলওয়ের অংশীজন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গত ৭ জুলাই ছয় দফা দাবিতে হাতে শেকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর স্টেশনে অবস্থান শুরু করেন রনি। তার দাবিগুলো হলো:

১. টিকিট ব্যবস্থাপনায় সহজ ডটকমের হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।

৩. অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।

৫. ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। এবং

৬. ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

Bootstrap Image Preview