Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এসডিজির স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরী: জুয়েনা আজিজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১২:১০ PM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১২:১০ PM

bdmorning Image Preview


টেকসই লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন জরুরী বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে 'বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং'- এর প্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জুয়েনা আজিজ বলেন, 'টেকসই উন্নয়নের স্বাস্থ্য বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরী। তামাক-বিরোধী কার্যক্রমে পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং- এর মাননীয় সংসদ সদস্যবৃন্দের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাঁদের কার্যক্রমের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। সাংসদবৃন্দের এ ধরণের কার্যক্রমে ভবিষ্যতে নিজেকে যুক্ত রাখার চেষ্টা থাকবে।'

বৈঠকে জুয়েনা আজিজের নিকট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সাংসদদের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। বিশেষ করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে প্রধানমন্ত্রীর নিকট ১৫৩ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশকৃত চিঠি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট ১৫২ জন সংসদ সদস্যের সুপারিশের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। এছাড়াও চলতি বছরের মে মাসে কক্সবাজারে ৪০ জন সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত, 'অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন' শীর্ষক কনফারেন্সের 'কক্সবাজার ঘোষণাপত্র'সহ অন্যান্য বিষয়গুলো উঠে আসে।

বলে রাখা ভালো, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তামাকপণ্য সহজলভ্য। জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এই তামাক বাংলাদেশের প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ ব্যবহার করে। তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। অন্যদিকে, তামাক নিয়ন্ত্রণে ৬টি বিষয় নিয়ে কাজ করছে পার্লামেন্টারি ফোরামের সদস্যবৃন্দ। এগুলো হলো, সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে “ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান (DSA)’’ নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে (Points of Sale) তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন (Product Display) নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডক্টিস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা এবং বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ করা।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং’ এর সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে থাকে।

Bootstrap Image Preview