Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তিস্তা মহাপরিকল্পনা কাজ শুরু হবে: লি জিমিং

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩০ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩০ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগ্রহীত


তিস্তা নদী নিয়ে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন খুব শিগগিরিই আলোর মুখ দেখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। রোববার সকালে নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা নদীর ওপরে অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি একথা জানান।

তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ওপর চীনা সহায়তায় নির্মিত মহিপুর ব্রিজ, তৎসংলগ্ন তিস্তা ডানতীর বাঁধ ও তিস্তা সেচ প্রকল্পের অধীনে ফসল খামার পরিদর্শন করেন লি জিমিং। এ ছাড়া দুটো মহাসড়ক প্রকল্প এলাকাও পরিদর্শন করেন।তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শন শেষে নীলফামারীর ডালিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে লি জিমিং বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে। এখন চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই কাজ। সেটি শেষ হলে দুই দেশের সরকারের চেষ্টায় প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা একটি বৃহৎ নদী। এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এটি বাংলাদেশে আমার প্রথম কাজ। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, এরপরও এটি করবো। আমরা এসেছি নদীটি খননের সম্ভবতা যাচাই করতে।লি জিমিং বলেন, আমি ও আমার সহকর্মীরা পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছি। এই এলাকার মানুষরা কী ভাবছেন সেটি সবার আগে খেয়াল করছি আমরা। মানুষের কতটা চাহিদা রয়েছে সেটিও দেখা হচ্ছে। আমরা অনুধাবন করেছি এই প্রকল্পটি স্থানীয় জনগনের প্রয়োজন এবং স্থানীয় জনগনের স্বার্থে প্রকল্পটি হবে বুঝতে পেরেছি।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রস্তাবের বিষয়ে চীনা দূত বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল প্রস্তাব পেয়েছি। এখন পুরো নথি গুরুতর মূল্যায়নে রয়েছে। খুব দ্রুত এ প্রকল্পের ভালো দিক আসবে। এবং এর ব্যয় অবশ্যই এই অঞ্চলের মানুষের স্বার্থে যথার্থ বিবেচনা করা হবে।

এ সময় হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শনে এসে খুশি হয়েছেন। তারা কাজ করতে আগ্রহী। চীন ছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব না। কারণ, ভারত দিয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা আর চীন দিয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।জানা গেছে, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা হবে।এছাড়া নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিসেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প ও পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।

Bootstrap Image Preview