রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ কমিউনিটি ট্রেনে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতার সুমন (২১) ও নাইম (২৫)। ঢাকার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফ তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
অন্যদিকে নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালুকে (২২) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৯ অক্টোবর) ঢাকা জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে রেলওয়ে পুলিশ। এরপর সুমন ও নাঈম সেচ্চায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে নাজমুল, আনোয়ার ও রোমান প্রকাশ কালুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার রাতে নেত্রকোনা থেকে হাওর এক্সপ্রেসে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসে এক কিশোরী। পরে কৌশলে কয়েকজন তরুণ-যুবক কিশোরীকে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের তুরাগ কমিউনিটি ট্রেনের একটি বগিতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় তারা।
এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। তারা হলেন সুমন, নাইম, নাজমুল, আনোয়ার ও রোমান প্রকাশ কালু। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে- এমন একজন পলাতক। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়।