Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদার কথায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৯ PM
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগ্রহীত


আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতারা হুশিয়ারি  দিয়েছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশ চলবে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার কথায়। দলটির নেতারা আরও বলেন, এ বছরেই গণঅভ্যুত্থান হবে। বিদ্যুতের অভাবে বাংলাদেশ চেরাগের দেশ হবে না। তার আগেই শেখ হাসিনার পতন ঘটবে বলেও হুশিয়ারি দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। 

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি,দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি আর বিএনপির নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় শনিবার বিকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে জনসমাবেশে যোগ দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

পল্লবীর কালসীতে বালুর মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে এ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে লুটপাট, নৈরাজ্য আর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেশকে গর্তে ফেলে দিয়েছে বর্তমান সরকার। শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েই মানুষের উপর চালানো নির্যাতনের অবসান হবে। 

সকালে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। আর কারো কথায় দেশ চলবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

ফয়সালা রাজপথে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাঁচ জন রক্ত দিয়েছে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তারা বলেছে, আমাদের রক্তের ঋণ তখনই শোধ হবে যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। পাঁচ জন কেন, যদি পাঁচ হাজারও শহীদ হতে হয়; এ দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আমান বলেন, প্রস্তুতি নিন, কর্মসূচি আসছে; কাঁচপুর ব্রিজ, টঙ্গী ব্রিজ, মাওয়া রোড, আরিচা রোড, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া-সারা বাংলাদেশ বন্ধ করে দেবেন। এই বাংলাদেশ চলবে না। ১০ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়ার কথায়। এর বাইরে কারো কথায় দেশ চলবে না।

রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। 

তিনি বলেন, সরকারকে দ্রুত পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে জনমত তৈরি করার জন্য আলেম ওলামাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ যাদের চায় তারাই ক্ষমতায় যাবে। আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। একটি সংগঠন নিহত আবরারের স্মরণে কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলো। ছাত্রলীগ তাদের মঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়েছে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা দিয়েছে। তারা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে। দেশে অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের ২৯ বিভাগকে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতির কোনো খবর যাতে প্রকাশ না হয়। এমনিতেই চ্যানেল ও পত্রিকাগুলোতে বলে দেয়া হয় কোন খবর যাবে কোনটা যাবে না। খবর পর্যন্ত তারা নিয়ন্ত্রণ করে। আর প্রধানমন্ত্রী তার সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। এই সরকারের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ। সেটা হল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন এক নির্বাচন কমিশন গঠন করবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে।

মাঠ পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে এক হোন। পদের জন্য, কমিটির জন্য লড়াই করবেন না। এখন লড়াই করতে হবে দেশকে রক্ষা করার জন্য। এটা সবচেয়ে বড় লড়াই। সেই দিকে আমাদের যেতে হবে। আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনমতকে সংগঠিত করা।

 

Bootstrap Image Preview