নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মানবপাচারকারী চক্রের কবল থেকে এক গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার ভুইগড় গিরিধারাস্থ কামাল হোসেনের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- দিনাজপুর জেলার সদর থানার দক্ষিণ পাতেল শাহ গ্রামের সাদেক আলীর পুত্র ও ফতুল্লা মডেল থানার ভুইগড় গিরিধারার কামাল হোসেনের মো. ওমর ফারুক (২২), বোন শারমীন (২৫) ও মৃত মিজানের ছেলে মামুন হোসেন (২২)।
এঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, মামলার বাদী তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার ডেমরা থানা এলাকার ডগাইরে আকবর হোসেনের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো। একই বাসায় ভাড়া থাকতো গ্রেপ্তারকৃত শারমীন। সে সুবাদে শারমীন তাদের পূর্ব পরিচত। তার চলাফেরা সন্দেহজনক হওয়ায় বাড়ির মালিক চার মাস পূর্বে শারমীনকে বাসা থেকে বের করে দেয়।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাদীর স্ত্রী নারায়নগঞ্জ যাওয়ার পথে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শারমীনের সঙ্গে দেখা হয়। পরে শারমীন ও তার ভাইসহ অভিযুক্ত অপর আসামি কৌশলে বাদীর স্ত্রীকে গিরিধারাস্থ তাদের ভাড়া ফ্ল্যাটে নিয়ে য়ায়। বাদীর স্ত্রী এ সময় ডাক চিৎকার করলে তার হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় গুজে দেয়। এসময় অভিযুক্তরা বাদীর স্ত্রীকে টাকার বিনিময়ে অন্যত্র পাচার করার জন্য নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করে। অপরদিকে বাদীর স্ত্রীর ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে তিনজনকে আটক করে। বাদী সংবাদ পেয়ে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রীকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সোহাগ সাহা জানান, রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় নারীসহ তিনজনকে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।