রাজধানীর স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে স্কুলবাস চালু করতে চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। তাতে যানজট কমার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
সোমবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বনানীর শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই) এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল।
সভায় প্রধান অতিথি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা শহরের স্কুলগুলোতে বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সামনে শত শত গাড়ি থাকে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়। যা একটি সুন্দর নগরীর সহায়ক নয়। পরিবেশ রক্ষায় ও যানজট কমাতে স্কুলবাস চালু করতে হবে।
‘স্কুলবাস সার্ভিস চালু হলে পরিবেশ দূষণ কমবে, যানজট কমবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে। আমি ইতোমধ্যে কয়েকটি স্কুলে কথা বলেছি, তারা একমত পোষণ করেছে।’
শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে স্কুলবাসে যাতায়াত করলে আনন্দ পাবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একসাথে যাতায়াতে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করেন। স্কুলবাস হলে বাচ্চাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। বাসে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক স্কুলবাস চালুর বিষয়ও বিবেচনায় আছে।’
‘শহরের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ডিএনসিসি বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। লাউতলা খালের ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ট্রাকস্ট্যান্ড ও মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালটি পুনরুদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। খালের পাড়ে দুই হাজার গাছ রোপণের কাজ চলছে। সেখানে দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।
‘ডিএনসিসিতে জন্মনিবন্ধন করতে আসা নাগরিকদের একটি করে গাছ দেয়া হচ্ছে। আমরা নগরবাসীকে ছাদবাগান করার জন্য এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য উৎসাহিত করছি। আমরা চব্বিশটি পার্ক ও মাঠের উন্নয়নকাজ শেষ করেছি।’
পরিবেশ রক্ষায় কোমল পানীয় বাজারজাতকরণ কোম্পানিগুলোকে তাদের সরবরাহ করা বোতল রিসাইক্লিংয়ের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বিজিসিসিআই-এর সহসভাপতি সিভাস্টিয়ান গ্রোয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট-এর পরিচালক ড. সালিমুল হক, বিজিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি তরুন পাটোয়ারীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।