এশিয়া কাপে আলো ছড়াচ্ছে আফগানিস্তান। টানা দুই জয়ে ‘সুপার ফোর’ নিশ্চিত মোহাম্মদ নবীদের। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এই দল যদি ভারত-পাকিস্তানকেও হারিয়ে দেয় অবাক হবেন না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার অজয় জাদেজা। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। এরপর নবী-রশিদদের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপের দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে নবীর দল। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা আফগানদের নিয়ে ভারত-পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিলেন অজয় জাদেজা। ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাদের (আফগানিস্তানের) বিপক্ষে খেলার আগে দলগুলোর সতর্ক হওয়া উচিত। সুপার ফোরের খেলায় তারা যদি বড় দলগুলোকে বিদায় করে দেয় আমি অবাক হবো না।’
শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ব্যাটারদের শাসন করেছে আফগান বোলাররা। ফজলহক ফারুকি, মুজিব উর রহমানদের খেলতে গিয়ে মাত্র ১০৫ রানেই গুড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংআফগানদের বিপক্ষে ১শ’ ছোঁয়ার আগে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে রান তুলে মোটে ১২৭। দুই ম্যাচের চিত্রে বোঝা যায় আফগানিস্তানের বোলিং বিভাগ কতোটা শক্তিশালী। অজয় জাদেজার কণ্ঠেও একই সুর, ‘আগুনে বোলিং তাদের। আফগানদের বোলিং সম্পর্কে সবাই জানে। ধরুন, যদি পাকিস্তান-ভারত তাদের বিপক্ষে ২০ রান কিংবা ৩০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তাহলে তাদের আর ম্যাচে ফিরতে দেবে না আফগান বোলাররা। তাদের এই সামর্থ্য রয়েছে।’
শুধু কি বোলাররা? আফগানিস্তানের ব্যাটাররাও নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২ উইকেটে ৫৯ বল বাকি থাকতেই লঙ্কানদের হারিয়ে দেয় আফগানরা। সে ম্যাচে ১৮ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাণ্ডব চালিয়েছেন পাঁচে নামা নাজিবুল্লাহ জাদরান। মাত্র ১৭ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। অজয় জাদেজা মনে করেন, আফগানিস্তানের যেকোনো পজিশনের ব্যাটাররা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সক্ষম। তিনি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছে তারা। তাদের ওপেনাররা নির্দিষ্ট উপায়ে খেলতে পারে। তাহলে আপনি যদি পাকিস্তান অথবা ভারতকে নিয়ে পরিকল্পনা করেন, তবে কী ভাবছেন? তারা (ওপেনাররা) মাঠে আপনাদের চমকে দিতে পারে। বাকিরা আরো বেশি অবাক করে দিতে পারে।’