Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কলেজছাত্রীকে কালভার্টের নিচে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ব্ল্যাকমেইল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৩:০৭ PM
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০৩:০৭ PM

bdmorning Image Preview


রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন ওই ছাত্রী। এর আগে বিলাইছড়ি থানা মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন বাদী। পরে বিচারক এইএম ইসমাইল হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিলাইছড়ি থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণ এবং তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের নথি থেকে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল রাতে ওই কলেজছাত্রী বিজু উৎসবে যোগ দিতে তাঁর স্থানীয় এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে অঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা ওরফে এজেন্ট, রুজন দাশ, সুমন্ত চাকমা, স্নেহাশীষ বড়ূয়া ও সুজন দাশ নামে পাঁচজন ফারুয়া ইউনিয়নের এগুজ্যাছড়ি ফরেস্ট অফিসের কালভার্টের নিচে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সুমন্ত। পরে অঞ্জন ও রুজন বিষয়টি কাউকে জানালে বা মামলা করলে তরুণী ও তাঁর বাবাকে হত্যা এবং ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

আরও জানানো হয়, ওই ঘটনার পর তরুণী চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের 'ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে' চিকিৎসা নেন। ভয়ে মামলা করেননি তিনি। তবে গত ২৩ জুন সুমন্ত, স্নেহাশীষ ও সুজন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁকে ফের ধর্ষণের কথা বলে। পরে ২৮ জুন তিনি বিলাইছড়ি থানায় মামলা করতে যান। থানা মামলা না নেওয়ায় জেলা লিগ্যাল এইডের সহায়তায় মঙ্গলবার আদালতে মামলার আবেদন করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সালিমা ওয়াহিদা জানান, ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে মামলা না করতে চাপ দিয়ে আসছিল আসামিরা। একইভাবে তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা।

তবে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বিলাইছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ঘটনার অনেক দিন পর স্থানীয় এক হেডম্যান অভিযোগটি দিতে এসেছিলেন। ভুক্তভোগী যেহেতু শহরে থাকেন, সেক্ষেত্রে আদালতে মামলা করতে পারেন অথবা বিলাইছড়ি থানায়ও মামলা করা যাবে। মামলার জন্য ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবারকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয়।

Bootstrap Image Preview