Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ‘পুইত্তা ফেলার’ হুমকির অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০২:৩২ PM
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২, ০২:৩২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে শিক্ষিকার হুমকির অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

অভিযুুক্ত শিক্ষিকা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও খালেদা জিয়া হলের হাউজ টিউটর মাহবুবা সিদ্দিকা।

গত সোমবার (২৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক পরিচয় দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবা সিদ্দিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলাম। চিনো তুমি আমারে? আমি কত পাওয়ার চালাইছিলাম তুমি জানো? তোমার এলাকার মেয়র টিটু ভাইকে চিনো? বইল্লা ঐখানে তোমারে পুইত্তা দিমুনে। আমার বাড়ি কোথায় জানো? আমার শ্বশুর কোথায় জানো? এলাকায়ও টিকতে পারবা না।’

জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট হলের সিট বরাদ্দের জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গেলে হেনস্তার শিকার হন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এ সময় সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই শিবির আখ্যা দিয়ে তাকে হুমকি দেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এতে শঙ্কিত হয়ে পরিচিত এক ছাত্রলীগ কর্মীকে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী। ছাত্রলীগ কর্মী সাগর ছাত্রীকে হেনস্তা না করার অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীকে ডেকে নানাভাবে হুমকি দেয় তিনি। পরে গত শনিবার নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

অডিওটির বিষয়ে মাহবুবা সিদ্দিকা বলেন, 'আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি কোন অডিও শুনিনি।' 

ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, 'অনাঙ্ক্ষিত একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ওই ছাত্রীর সঙ্গে গতকাল আমাদের দেখা হয়েছে। প্রক্টর স্যার, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রভোস্ট ম্যাম ছিলেন। ওই ছাত্রী দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছে। আমরাও বলেছি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।'

এ ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। একজন শিক্ষিকার এমন আচরণ হওয়া উচিত নয় বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অনুসন্ধান কমিটির সদস্য নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমরা চিঠিটি হাতে পেয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেবো।’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোনো মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করা কখনোই উচিত নয়। তারপরও কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে তাহলে প্রশাসনের উচিত ঘটনার তদন্ত করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’

এ বিষয়ে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, হলের ৯৯ শতাংশ ছাত্রী বোরকা পরে এ বিষয়ে আমাদের কোন বাধা নেই। একজন ছাত্রী ভুল করলে যেভাবে বোঝানো হয় সেভাবেই তাকে বুঝানো হয়েছে বলে জানি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য ক্যাম্পাসে নেই। তিনি ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা বসে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

Bootstrap Image Preview