Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা দেখেন না মেয়র তাপস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১০:১৭ AM
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২২, ১০:১৭ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিশ্চিত না করে ২৪ ঘণ্টা ঔষধের দোকান খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, হাসপাতালে সংযুক্ত ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না।

তিনি বলেন, ‘‘যেখানে রোববার থেকে বৃহস্পতিবারে সুনির্দিষ্ট সময়ের পর, শুক্র-শনিবার এবং রাতের বেলা চিকিৎসকই পাওয়া যায় না, সেখানে ওষুধের দোকান কেন খোলা রাখা হবে? আগে তো চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে। তারপরই তো চিকিৎসা সেবার জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে। তারপরও কোনও হাসপাতাল থেকে যদি লিখিত কোনও আবেদন আসে, আমরা অবশ্যই সেটা বিবেচনা করব।” 

মঙ্গলবার বিকালে নগর ভবনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের  দ্বিতীয় পরিষদের ষোড়শ করপোরেশন সভার সূচনা বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।    

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঘোষিত সময়সূচির বাইরে যে কোনও ধরনের প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে যথাযথ যৌক্তিকতা সহকারে করপোরেশনের কাছ থেকে পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ।

তাপস বলেন, শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে যে সময়সূচি উপস্থাপন করা হয়েছে সেটা ১ সেপ্টেম্বর থেকে এটা কার্যকর করতে চান তাঁরা।

দেশে বিদ্যূৎ সাশ্রয়ের জন্য যে উদ্যোগ তার অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি সম্প্রতি দোকানপাট খোলা রাখার জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। তবে ওষুধের দোকানের সময়সূচী নিয়ে সমালোচনা আসে নানা মহল থেকে। খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সমালোচনা করেন।

সিটি করপোরেশের গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে পাড়া-মহল্লার ওষুধের দোকানের জন্য রা রাত বারোটা পর্যন্ত এবং হাসপাতালের সঙ্গে যেসব ওষধের দোকানগুলো আছে সেগুলোকে রাত দুইটা পর্যন্ত সময় খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ঔষধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে নানা মাধ্যমে আলোচনা হলেও করপোরেশন এখনো কোনও পক্ষ বা ব্যক্তি হতে কোনও আবেদন পায়নি জানিয়ে মেয়র বলেন, "ঘোষিত গণবিজ্ঞপ্তির সময়সূচি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। শুধুমাত্র হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানগুলো খোলা রাখার বিষয়ে বিভিন্নভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছেন, তারা কিন্তু আমাদের কাছে কোনও লিখিত আবেদন করেননি।" 

ঘোষিত সময়সূচি বাস্তবায়নে কাউন্সিলরদের দেন মেয়র। সময়সূচির সঙ্গে করপোরেশনের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম ও শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, "শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই একটি শহরকে পরিচালনা করা যায় না। তার সাথে সাথে আনুষঙ্গিক যত বিষয় রয়েছে -- সেগুলোরও সংযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট সময়সূচির সাথে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা জড়িত। যখন সবকিছু একটি সূচির আওতায় আসবে তখন আমরা কার্যক্রমগুলো আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারব। " 

Bootstrap Image Preview