চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর জানা গেল সৎ মা কহিনুর শিশু আহম্মেদকে (৩) হত্যা করে মটিতে পুঁতে রাখেন। সোমবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল।জানা গেছে, সৎ মা কহিনুর তার বাবার বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে শিশু আহম্মেদকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
শিশু আহম্মেদ হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড রায়চৌঁ ছৈয়াল বাড়ির হাফেজ মো. শাহমিরানের ছেলে। বর্তমানে তারা ভাড়া বাসায় থাকেন ওই এলাকার সিদ্দিক হাজীর বাড়িতে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার বিকাল থেকে শিশু আহম্মেদকে খুঁজে না পেয়ে রোববার সকালে পাশের পুকুরের পানিতে ডুবেছে এমন সন্দেহ করে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস। পরে চাঁদপুর ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নিশ্চিত করেন শিশু আহম্মেদ পানিতে ডোবে নাই ।
খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ।তিনি জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। নিখোঁজ ডায়েরি হয়। শিশুটি উদ্ধারে সব পক্রিয়া বজায় রাখা হয়।এরপর সোমবার সকালে শিশু আহম্মেদের বাবা শাহ মিরান হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ সকালে শিশু আহম্মেদের সৎ মা কহিনুর বেগম, কহিনুরের মা ও খালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সৎ মা শিশু আহম্মেদকে হত্যা করে তার বাবার বাড়ির মাটিতে পুঁতে রাখেন বলে শিকার করেন।
পরে পুলিশ সৎ মা কহিনুরকে তার বাবার বাড়ি রামগঞ্জের দরবেশপুর উত্তর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মাটি খুঁড়ে শিশুর লাশ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, সৎ মা কহিনুরকে রামগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধারের পর বিস্তারিত জানা যাবে।এ প্রতিবেদন লেখার সময় সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করেনি রামগঞ্জ থানা পুলিশ।