Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যাকে সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিয়েছি সেই ড. ইউনূস বেঈমানিটা করলো: প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২, ০২:১৫ PM
আপডেট: ১৫ জুন ২০২২, ০২:১৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


যাকে সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিলাম, সেই ড. ইউনূস বেঈমানিটা করলো। সামান্য ব্যাংকের একটা এমডি পদের জন্য তিনি এই বেঈমানিটা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, আমি তার নাম বলবো কারণ আমি এখন পদ্মাসেতু করে ফেলেছি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৮ সালে যখন ভয়াবহ বন্যা তখন গ্রামীণ ব্যাংক চালাতে পারে না। তখন প্রথমে ১০০ কোটি পরে ২০০ কোটি এবং তারপর আবার ৪০০ কোটি টাকা আমি গ্রামীণ ব্যাংককে দিয়েছিলাম যেন গরীব মানুষ ঋণ পায়। কিন্তু সে গরীব মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ৪৭ শতাংশ লাভ নিতো এটাই দুর্ভাগ্যের বিষয়।

এছাড়াও ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বানচালে নাশকতার তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তথ্য রয়েছে এমন ঘটনা ঘটানো হবে যাতে ২৫ তারিখে পদ্মাসেতু উদ্বোধন করতে পারা না যায়। সব বাহিনীর প্রধানকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘হাইটেক পার্ক করে দিচ্ছি, ইনকিউবেটর, কম্পিউটার ল্যাব করে দিয়ে আমরা প্রযুক্তি শিক্ষার দিকে নজর দিয়েছি। পাশাপাশি স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। আমাদের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা নির্মাণ করে যাচ্ছি। চলাচলের সুবিধার জন্য মেট্রো রেল করছি, আজকে সেটাও দৃশ্যমান। আমরা এক্সপ্রেস ওয়ে করে দিচ্ছি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কাজেই এখানে আমাদের বাহিনীর প্রধানরা যারা আছেন আমাদের এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগ নিতে হবে’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, যখনই আমরা এগিয়ে যাই কোনো কোনো মহল তখনই নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আমি অনুরোধ জানাবো। যেহেতু এখানে আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান আছেন, সেজন্যই বললাম প্রত্যেককে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে’।

প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপকর্ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‌‘প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। আবার যারা বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদেরও কিন্তু সুযোগ করে দেয়। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে’।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি যেমন আমাদের সুযোগ দেয় আর্ত-সামাজিক উন্নয়নে আবার প্রযুক্তির মাধ্যমেই ধ্বংসাত্মক কাজের ধরন পাল্টে যায়। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা- এ বিষয়ে আমরা এসএসএফকে যতটুকু পারি শক্তিশালী করেছি। অন্যান্য বাহিনীগুলোর জন্যও আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের তো বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন করতে হবে’।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমাদের প্রত্যেকটা বাহিনী সজাগ ও সচেতন। একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল; এরপর থেকে গোয়েন্দা সংস্থা, সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী, পুলিশ-র‌্যাব-আনসার ভিডিপি-বিজিবি প্রত্যেকে কিন্তু দায়িত্ব পালন করেছে। এর ফলে আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ এবং দমন করতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমাদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে’।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।

Bootstrap Image Preview