Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের মসজিদ দখলের যত ছক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২, ০২:২৭ PM
আপডেট: ২৯ মে ২০২২, ০২:২৭ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ভারতে সম্প্রতি মুসলিমদের বেশ কিছু স্থাপনা ও ধর্মীয় উপাসনালয় নতুন করে হিন্দুত্ববাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। উত্তর প্রদেশের জ্ঞানবাপি মসজিদ, দিল্লির কুতুব মিনার, মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ, আগ্রার তাজমহল এবং আজমিরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাকে নিজেদের ধর্মীয় পীঠস্থান দাবি করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। 

ভারতে ১৯৯১ সালে প্রণীত উপাসনার স্থান (বিশেষ বিধান) আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে বিদ্যমান যেকোনো উপাসনালয়ের রূপান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদীদের আপিল কিংবা পিটিশনকে আমলে নিয়ে নিম্ন আদালতগুলো হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে পুষ্টি জুগিয়ে চলেছে। বিশ্লেষকরা একে আদালত ও হিন্দুত্ববাদীদের যোগসাজশ হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, হিন্দুত্ববাদীদের বিভেদের রাজনীতিকে পুষ্ট করতেই এসব বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে।

হিন্দুত্ববাদীদের টার্গেটঃ চলতি মাসেই কয়েকটি মুসলিম পীঠস্থানকে নিজেদের বলে দাবি করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। জ্ঞানবাপি মসজিদ নিয়ে তাদের দাবি, সেখানকার অজু করার পুকুরে শিবলিঙ্গ মিলেছে এবং মসজিদটির একাংশ তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়। হিন্দুদের বেশ কিছু মন্দির ভেঙে কুতুব মিনার তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদকে কৃষ্ণের জন্মস্থান, তাজমহলকে হিন্দু মন্দির দাবি করেছে তারা। 

দেশটির হিন্দুত্ববাদীরা বলছে, এর নাম ছিল তেজো মন্দির। তাজমহলের নিচের ২২টি ঘর খুলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিজেপির অযোধ্যা ইউনিটের মিডিয়া ইনচার্জ রজনীশ সিংহ। সবশেষ আজমিরের বিখ্যাত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর দরগাকে এক সময়কার হিন্দু মন্দির বলে দাবি করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। সব ঘটনাই মে মাসের এবং এর মধ্যে আগ্রার তাজমহল বাদে বাকি ৪টি উপাসনালয় নিয়েই আদালতে গেছে তারা। 

তিনি উদাহরণ হিসেবে হাজির করেছেন ১৯৮৬ সালে দেওয়া বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত একটি রায়ের প্রসঙ্গ। সে সময় জেলার বিচারক আদেশ দেন, যেন বিতর্কিত মসজিদের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়ে হিন্দুদের সেখানে উপাসনার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লক্ষেèৗ বেঞ্চ স্থানটির নিয়ন্ত্রণ ভাগাভাগি করে দেওয়ার রায় দেন। রায় অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশের নিয়ন্ত্রণ মুসলিমদের, এক-তৃতীয়াংশ হিন্দুদের এবং বাকি অংশ ‘নির্মোহী আখারা’ গোষ্ঠীর কাছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বেঞ্চের ৩ বিচারকের একজন এসইউ খান রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ১৯৮৬ সালের আদালতের আদেশের মধ্য দিয়ে বাবরি মসজিদ বিতর্কের জাতীয়করণ হয়েছে। অযোধ্যা ও ফয়েজাবাদের বাইরে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল না। উমাং পোদ্দার লিখেছেন, ‘অযোধ্যার বাবরি মসজিদ, বারানসির জ্ঞানবাপি মসজিদ, মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদ, দিল্লির কুতুব মিনার কিংবা মধ্য প্রদেশের কমল-উদ-দিন মসজিদ- সবক্ষেত্রেই এটা সত্য যে, আদালতের রায়ের মধ্য দিয়েই বিতর্ক জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত নিম্ন আদালতগুলো এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’ 

বাবরির তালা খোলা

১৯৮৬ সালে একজন আইনজীবীর দায়ের করা আপিল আবেদনকে আমলে নিয়ে হিন্দুদের প্রার্থনার জন্য মসজিদের দরজা খুলে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। রায়ের কয়েক মুহূর্তে মসজিদের দরজা খুলে যায়। একজন বাদে মামলার বাকি পক্ষগুলো এ সম্পর্কে কিছুই জানত না। আদালতে উপস্থিত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, তালা খুলে দিলে কোনো সমস্যা হবে না। ২০১০ সালে বিচারপতি এসইউ খান ঘটনাক্রম নিয়ে বিস্মিত হয়েছিলেন যে, একজন আগন্তুকের আপিল গ্রহণ করা হয়েছিল অথচ মামলার মূল একটি পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। 

জ্ঞানবাপির প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ

মুঘল যুগের জ্ঞানবাপি মসজিদ সম্পর্কে হিন্দুত্ববাদীরা বারানসির দেওয়ানি আদালতে দুটি মামলা দায়ের করে, যা থেকে বিতর্কের শুরু। ১৯৯১ সালে ‘স্বয়ম্ভূ ভগবান বিশ্বেশ্বর’-এর ভক্তদের দিয়ে বারানসি দেওয়ানি আদালতে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তারা দাবি করেছে, জ্ঞানবাপি মসজিদ প্লটটিতে মূলত একটি মন্দির ছিল এবং সেখানে পূজা করার অনুমতি চেয়েছিল। অযোধ্যা রাম জন্মভূমি বিবাদে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পর ডিসেম্বর, ২০১৯ এ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। বারানসিভিত্তিক একজন আইনজীবী নিম্ন আদালতে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, এটি নির্মাণে অবৈধতা ছিল। বারানসি আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (এএসআই) একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। জ্ঞানবাপি মসজিদ পরিচালনাকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এবং সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড সেই আদেশের বিরোধিতা করেছিল। বিষয়টি তখন এলাহাবাদ হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়া হলে যেখানে এএসআইকে মসজিদের জায়গার সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়ার আদেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। 

হাইকোর্ট উল্লেখ করেছে- ধর্মীয় উপাসনার স্থান আইন (বিশেষ বিধান) ১৯৯১ অনুসারে ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭-এ বিদ্যমান কোনো উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্রের যেকোনো পরিবর্তন নিষিদ্ধ। ২০২১ সালের মার্চে ভারতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের একটি বেঞ্চ ধর্মীয় উপাসনায় আইনের বৈধতা পরীক্ষা করতে সম্মত হয়েছিল। আগস্টে পাঁচজন হিন্দু নারী বারানসি আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যাতে জ্ঞানবাপি কাঠামোর অভ্যন্তরে ডায়েট-হনুমান, নন্দী, শ্রিঙ্গার গৌরী, প্রতিদিনের প্রার্থনা পরিচালনা করার অনুমতি চাওয়া হয়। গত এপ্রিলে বারানসি আদালত সাইটটি পরিদর্শনের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত একটি ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার নির্দেশ দেন। এর পরই সেখানে নামাজ আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই মাসের শুরুতে জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সের আদালত-নির্দেশিত ভিডিওগ্রাফি জরিপ সম্পন্ন হয় এবং হিন্দু পক্ষের একজন আইনজীবী দাবি করেন যে, কূপের ভেতরে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার জন্য বারানসি আদালতের আদেশকে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের সামনে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত সেই আদেশকে বহাল রাখে, যার ফলে সুপ্রিমকোর্টে একটি বিশেষ ছুটির পিটিশন দাখিল করা হয়। ১৪ থেকে ১৬ মে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে জ্ঞানবাপি মসজিদ কমপ্লেক্সের ভেতরে আদালতের নির্দেশিত ভিডিওগ্রাফি জরিপ সম্পন্ন হয়। জরিপে মন্দির চত্বরে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়ার কথাও জানানো হয়। 

মুসলিম পক্ষের আইনজীবীরা কী বলছেন

মুসলিম কৌঁসুলি পক্ষ আদালত-নিযুক্ত সার্ভে কমিশনার অজয় কুমার মিশ্রের পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তিনি আদালতের অনুমতির বাইরে মসজিদের ভেতর থেকে ভিডিওগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলেন। তারা মসজিদ কমপ্লেক্সের ভিডিওগ্রাফি জরিপকে উপাসনা স্থান আইন, ১৯৯১-এর লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেন। সবশেষ সর্বোচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে নামাজ আদায়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মুসলিম লোকসভার আইনপ্রণেতা আসাদুদ্দীন ওয়াইসি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, সাত দশক আগে বাবরি মসজিদের ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটেছিল, এবারও তাই ঘটছে। উল্লেখ্য, সাত দশক আগে ১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের ভেতর ঈশ্বর রামের মূর্তি দেখা যাওয়ার প্রচারণা করা হয়। তখন হিন্দুদের বিরুদ্ধে সেখানে মূর্তিগুলো রাখার অভিযোগ ওঠে। মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায় এবং দুই পক্ষই দেওয়ানি মামলা করে। সরকার ওই চত্বরকে বিতর্কিত জায়গা বলে ঘোষণা দেয় এবং দরজা বন্ধ করে দেয়। জ্ঞানবাপি মসজিদের ঘটনা নিয়ে ওয়াইসি ট্ইুটারে লিখেছেন, ‘এটা ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসের পাঠ্যপুস্তকীয় পুনরাবৃত্তি। আদালতের এ সংক্রান্ত আদেশ মসজিদের ধর্মীয় প্রকৃতিই বদলে দিয়েছে। এটা ১৯৯১ সালের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ 

আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেছেন, ‘জ্ঞানবাপি নিয়ে নিম্ন আদালতের আদেশ সুপ্রিমকোর্ট ও ১৯৯১ সালের আইনের লঙ্ঘন।’ 

মথুরা ও কুতুব মিনারের ক্ষেত্রেও একই ছক

মথুরা মামলা ও কুতুব মিনারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানাচ্ছেন কলামিস্ট উমাং পোদ্দার। এর পাশাপাশি তিনি বলছেন, তাজমহলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। ১২ মে তারিখে বিজেপি নেতা রাজনীশ সিংহ, যিনি দলটির অযোধ্যা ইউনিটের প্রধান। তিনি তাজমহলের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চেয়ে একটি আবেদন করেন। তবে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা ইতিহাসবিদদের ইস্যু, আদালতের এখানে কিছু করার নেই। 

কী বলছেন বিশ্লেষকরা

জ্ঞানবাপি মসজিদ প্রশ্নে মুসলিম পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সেখানে ভিডিওগ্রাফির অনুমতি দেওয়া ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনালয় আইন ও বিচারিক প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই আইনের মূল চেতনা ছিল, যেন পুরনো বিতর্ক উসকে না ওঠে। তবে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে মুসলিমদের আইনজীবী নিজাম পাশা বলেছেন, ‘জরিপের অনুমতি সেই বিতর্ক উসকে দেওয়ারই নামান্তর।’ 

এপির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদ বিতর্ক ভারতে ধর্মীয় ফ্ল্যাশপয়েন্ট হয়ে উঠছে। সমালোচকদের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনাগুলো ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের মর্যাদা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। উদ্বেগ বাড়ায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের, যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দিয়ে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় এপিকে বলেছেন, ‘আদালতে বোমা মারার মতো করে এত এত পিটিশন দায়ের করার মানে হলো মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সাম্প্রদায়িক আবহ সৃষ্টি করা। এভাবেই মুসলিমদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাদের বিশ্বাসের প্রকাশ্য উপস্থাপন ভারতে আর গ্রহণযোগ্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলাগুলো হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের বিভেদের রাজনীতির জন্য বিপুল সমর্থন হাজির করে। তাদের তো সেটাই দরকার।’

লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক রাশেদ কিডওয়াই সাম্প্রতিক মসজিদ বিতর্কের প্রেক্ষাপটে ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, ‘জনগণের সেন্টিমেন্টকে উসকে দেওয়াই এসব বিতর্কের উদ্দেশ্য। কেউই আসলে যুক্তির ধার ধারছেন না, কেননা বিষয়টাই ধর্মীয় বিশ্বাসের এবং বৈধতা-অবৈধতার বিপরীতে সেই বিশ্বাসকেই রাজনীতির উপজীব্য করা হয়েছে। 

অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রাজনীতি বিশ্লেষক নিরঞ্জন সাহু ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, ‘জ্ঞানবাপি মসজিদের ইস্যুটি স্পষ্টতই বিজেপি-সংশ্লিষ্ট হিন্দুত্ববাদী শক্তির নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক পাত্র ফুটন্ত রেখে তা থেকে লাভবান হওয়ার এটি একটি উপায়।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মসজিদ বিতর্ক এখনই শেষ হচ্ছে না। সামনে হিন্দুত্ববাদীরা এমন আরও অনেক বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করবে। 

তথ্যসূত্র : স্ক্রল.ইন, এপি, আলজাজিরা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস

Bootstrap Image Preview