বরিশালের উজিরপুরে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় যমুনা লাইন পরিবহনের শিশুসহ ১০ যাত্রী নিহতের ঘটনায় কারণ হিসেবে ভিন্ন ধারণা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
রোববার ভোরে এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ২০ যাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কিভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিল। এরপরই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে পুরো বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
‘বাসে কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে আরও আহতদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।’
তবে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বরিশালের গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি শেখ বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবুও তদন্ত সাপেক্ষে এর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে চালক বেঁচে আছে না মারা গেছে, সেটি নিশ্চিত নয়।
‘বাসটি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। তবে এখন সব স্বাভাবিক রয়েছে।’
এর আগে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিশুসহ ৯ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
উজিরপুর থানার ওসি আলী আরশাদ নিউজবাংলাকে জানান, যমুনা পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বামরাইলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।