Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপিকে ভোটে আনতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি: মোমেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২, ১১:৪৪ PM
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২, ১১:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার বিষয়ে এ আলোচনা হয়।

এ নিয়ে ‘বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী- কিছু সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বিভিন্ন মাধ্যম ও মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনে আমরা সব দলকে চাই। সব দল মোটামুটি আসে। কিন্তু একটা বড় দল আছে তারা পাবলিকলি বলে, নির্বাচন করবে না। কেউ যদি ইচ্ছে করে করতে না চায়...। তারা জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসেনি। আপনারা পারলে আনেন। আমরা তো সবাইকে আনতে চাই। তবে এটা কোনো প্রস্তাব আকারে দেইনি। কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তারা ওই ধরনের জিনিসই (অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া) আশা করে। এজন্য তাদের আমরা আনতে পারি না। উনি (ব্লিঙ্কেন) বললেন, কেন আনতে পারেন না? তখন আমি বললাম, আপনি তাদের নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। বাকি সব দল আসে। তারা যদি না আসে আমরা কী করব। উনি বললেন, না আসলে আপনারা তো কিছু করতে পারেন না।’

ড. মোমেন বলেন, ‘আমি বললাম, আমাদের দেশের গণতন্ত্র খুব ট্রান্সপারেন্ট। আমাদের দেশটা সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি লোক গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এজন্য ৭২ শতাংশের নিচে কোথাও ভোট হয় না। ভোটে রেসপন্স বেশি। এটা উৎসব। আপনার দেশের মতো না, জোর করে লোক নিতে হয়, কেউ আসে না। আমাদের গণতন্ত্র অন্যদের শেখানো লাগবে না।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি, ‘আপনার রাষ্ট্রদূত আমাদের নির্বাচন দেখেছেন। কোথাও কারচুপি হয়নি। আমাদের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। আবার নতুন করে আমরা তৈরি করেছি। সবার গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ লোকদের নিয়ে করা হয়েছে।’

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন মহলের নানা ধরনের চাপ আছে বলে উল্লেখ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপ নেই বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সহসাই উঠছে না বলেও জানান মোমেন। তিনি বলেন, ‘র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠতে আরো সময় লাগবে।’

সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনের অসম্পূর্ণতা ও অস্পষ্টতার বিষয়ও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার প্রতিবেদন যথাযথ নয়। এতে অনেক অসঙ্গতি আছে। প্রতিবেদনটি ভুল তথ্যনির্ভর। কিছু এনজিও ও মিডিয়ার মিথ্যা খবরের ভিত্তিতে এটি তৈরি হয়েছে।’

ড. মোমেন বলেন, ‘গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষায় এদেশের জন্ম। এখানে ওই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে পারে না। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝি আছে মাত্র।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে।’

 

Bootstrap Image Preview