তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার জোগিপেটের ২১ বছরের এক যুবকের সঙ্গে পাশের মেদক জেলার চান্দুর গ্রামের ২২ বছরের আরেক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। একজন পেশায় অটোরিকশার চালক, অন্যজন বেকার।
দুমাপালপেট গ্রামের একটি স্থানীয় মদের দোকানে তাদের দেখা। সেই থেকেই বন্ধুত্ব। দিন শেষে প্রায় প্রতিদিন তাদের দেখা হতো সেখানে। জম্পেশ আড্ডা আর ভরপুর মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন তারা।
এক মাসে আগে ঘটে এমন এক বিপত্তি, যা গড়ায় থানা পর্যন্ত। দুই যুবকের পরিবারের হস্তক্ষেপে অবশেষে বিচ্ছেদ হয় তাদের।
সেদিন পেটে হয়তো একটু বেশিই মদ পড়েছিল। সামলাতে পারেননি আবেগ। দুজন দুজনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন! দুই পক্ষের আগ্রহ থাকায় সেই রাতেই জোগিনাথ গুট্টা মন্দিরে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। তারপর চলে যান যে যার বাড়ি।
গত সপ্তাহে সেই বেকার বন্ধু গিয়ে ওঠেন অটোরিকশাচালকের বাড়িতে। সেখানে তার পরিবারকে সব খুলে বলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের কাছে অটোরিকশার চালক জানান, তারা প্রায়ই মদের দোকানে দেখা করতেন। বিয়ের কথাও অস্বীকার করেননি তিনি।
এসব শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে অটোরিকশাচালকের পরিবারের। তারা কিছুতেই বিষয়টা মেনে নিতে পারেনি। এমনকি সব শোনার পর বাড়ি থেকেও বের করে দিয়েছিল ওই বেকার বন্ধুকে।
নাছোড় সেই যুবক বাধ্য হয়ে ছুটে যান পুলিশের কাছে। পরে অবশ্য অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ঘৌস বলেন, দুই পক্ষের পরিবারকে বিষয়টি নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল। পরে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করেছে।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেকার যুবক অধিকার ছেড়ে দেয়া বাবদ ১ লাখ টাকা চেয়েছিলেন অটোরিকশার চালকের কাছে। পরে ১০ হাজার টাকায় রফাদফা হয় বিষয়টির। তবে দুই যুবককেই আনুষ্ঠানিকভাবে ত্যাজ্য করে দিয়েছে তাদের পরিবার।