Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ বুধবার, মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্লাসে পড়া না পারায় ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীর গালে চড় মারার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৫৮ PM
আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৫৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ক্লাসে পড়া না পারায় এক ছাত্রকে দিয়ে ছাত্রীর গালে চড় মারার অভিযোগ উঠেছে কলেজের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ফরদাবাদ ইউনিয়নের ড. রওশন আলম কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

জানা যায়, চলতি মাসের ৪ এপ্রিল সকালে জেলার বাঞ্ছারামপুর ড. রওশন আলম কলেজের শিক্ষক সাদেকুর রহমান দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাসে এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করেন শিক্ষক সাদেকুর। ওই ছাত্রী ভুল উত্তর দেয়। এজন্য শিক্ষক সাদেকুর ওই ছাত্রীকে নিজের গালে চড় মারতে বলেন। পর পর তিনবার বলার পরও চড় না মারায় পাশে থাকা আরেক ছাত্রীকে ওই ছাত্রীর গালে চড় মারতে বলেন। কিন্তু পাশের ছাত্রীও চড় দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে এক ছাত্রকে ওই ছাত্রীর গালে চড় দিতে বলেন শিক্ষক সাদেকুর রহমান। শিক্ষক সাদেকের নির্দেশে এ সময় ছাত্রীর গালে চড় মারে ওই ছাত্র।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

অভিযোগকারী ছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা কলেজে গিয়ে বিচার প্রার্থী হয়েছি।

অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক সাদেকুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রী উত্তর দিতে ভুল করেছিল। তার ভুল সংশোধন করে দিয়েছিলাম। এরপরও না পারায় তাকে নিজের গালে চড় মারতে বলেছিলাম। বার বার ভুল হওয়ায় ভেবেছিলাম এটা করলে মনে থাকবে। ওই ছেলে নিজে থেকেই অতি উৎসাহী হয়ে ছাত্রীর গালে আস্তে করে হাত দিয়েছে।

ড. রওশন আলম কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওই ছাত্রীর বাবার কাছে কলেজের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শেখ শহিদুল হক শনিবার দুপুরে জানান, বিষয় আমি জেনেছি। তবে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান।

Bootstrap Image Preview