Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীকে ১০ কেজির স্বর্ণের গিলাফ উপহার দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২২, ০৭:৪২ PM
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২, ০৭:৪২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য স্বর্ণ ও রুপা দিয়ে তৈরি ১০ কেজি ওজনের একটি গিলাফ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ।

পবিত্র কোরআন শরিফের আয়াত সংবলিত গিলাফটি সৌদি বাদশাহর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।

জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সৌদি বাদশাহর উপহারটি পৌঁছে দেন তিনি।

বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারপ্রধান, যিনি সৌদি আরবের বাদশাহর পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি গিলাফ গ্রহণ করলেন।’

এই উপহারের জন্য সৌদি বাদশাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ে সৌদি আরবের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।’

দুটি পবিত্র মসজিদের খাদেমের দায়িত্ব পালন ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি অবদান রাখার জন্য সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজকে শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবকে জমি দেয়ার প্রস্তাব

বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব। তাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশটির জন্য জমি বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।’

পর্যটন, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বহুমুখী সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলেও আশা করেন সৌদি দূত মোহাম্মদ ঈসা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সৌদি আরবের বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। তারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জমি পছন্দ করতে পারেন।’

এক্সপো-২০৩০ আয়োজনে সৌদি আরবকে সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে তাদের প্রার্থীর প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন।

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে তৃতীয় পক্ষ বা কোনো দেশকে বাইরে থেকে আমন্ত্রণ জানাবেন না।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview